রাত্রির হাতে হাত রেখে ঘুমিয়ে পড়ে পৃথিবীর সমস্ত আলো
জাগ্রত আঁধারের বুকে লুকোচুরি খেলে সপ্তপদী রঙ –
সমস্তটা আঁধার সে ধারণ করে আপনা বুকে
কৃষ্ণবর্ণ নিস্তব্ধতার সাথে সবচেয়ে গভীর মিতালি থাকে নীল জলের-
বেলাভূমির ঢেউ ছুঁইছুঁই জলে
একটি দ্বিপুটক ঝিনুক হেঁটে যায় অন্য আরেকটি ঝিনুকের দিকে;
সে এক অন্য জীবন।

অন্ধকার সাগর জলকে তখন মনে হয় নেশার শরাব
ইচ্ছে করে-
সাগরের বুকে একটা বরফকল পেতে দিয়ে
দু’হাতে আঁজলা ভরে পিয়ে নেই ব্লু সি-ওয়াটার
মহোল্লাসে খসিয়ে দেই অন্তরিক্ষের অন্তত দু’একটি নক্ষত্র।

উল্লাস পর্ব শেষ হয়ে এলে-
সমুদ্রকে না হয় দু’একটা প্রশ্নও করা যাবে;
জিজ্ঞেস করা হবে-
সমুদ্র, তোমার লোনা জল ভালো লাগে?

রাত্রিকে জিজ্ঞেস করা যাবে-
রাত্রি, তোমার অন্ধকার ভালো লাগে?
পা’য়ে এসে আছড়ে পড়া ঢেউকে জিজ্ঞেস করা হবে-
ঢেউ, তোমার পা’য়ে আছড়ে পড়তে ভালো লাগে?

সমুদ্র, রাত্রি, অন্ধকার;
ওরা যদি সম্মিলিত হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে-
কবি, তোমার বেতনমুখী কবিতা ভালো লাগে?
তখন আমরা পরস্পরকে কি জবাব দেব?

প্রশ্নোত্তর পর্ব সাঙ্গ হলে-
অদূরে-
রূপালী আলোতে দেখা যাবে-
জলে ভিজতে ভিজতে ঝিনুক দু’টি পৌঁছে গেছে একে অপরের নৈকট্যে;
নিজেদের শুকিয়ে নিতে ওদের তখন দরকার হবে-
কিছু উষ্ণতা- একটু গরম কাপড়- মোজা তোয়ালে;
আর অনেকটা গাঢ় নির্জন অন্ধকার।