একটি অসমাপ্ত গল্পের নায়ক যেন কবিতায় ফিরে আসে বারংবার
কখনো মাঝরাতে দূরের তারা হয়ে আবার কখনো ভরাট কণ্ঠের কবিতায়।
মাঝেমাঝে সে রাতের তারা কিংবা কবিতার ধার ধারে না
সে যেন চলে আসে অধিকার বোধ নিয়ে- দুরন্ত ঝঞ্ঝা হয়ে;
একটা কালবৈশাখী ঝড় এসে চলে যায়,
জানে না সে কোথা দিয়ে বয়ে গেছে
সে শুধু বয়ে যেতে জানে;
কি কি লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল সে হিসেব তার রাখবার কথাও নয়।
ঝড় চলে গেলে -- রয়ে যায় ক্ষত।

কখনো'বা বাসায় কিংবা অফিসে;
সকালে কিবা সাঁজে
ব্যস্ততা অথবা অবসরে সুপ্ত অভিমানী সে ক্ষত জেগে ওঠে
মনে হয়, হায়!!!
কেউ যদি ছুঁয়ে দিত জাদুর কাঠির মতন, সেরে যেত দগদগে ঘা!
অতখানি দূরে থেকেও কিভাবে ছুঁয়ে দেয়া যায় বেহিসাবি মন জানে না তার হিসেব,
উচ্চাভিলাষী নয় অথচ মেতেছি তোমাকে পাওয়ার এক দারুণ বিলাসিতায়।

ঝড়,
যদি কখনও একা হও,
ঠিক আমার'ই মত একা;
মেপে দেখো ঝড়ের নিঃশ্বাস
সাইক্লোন হয়ে বয়ে গেছ উত্তর পশ্চিমে,
মাইলের পর মাইল শুধু লাশের স্তূপ,
কারও চোখ নেই, কারও হাত নেই, পা নেই- কারও বা থেঁতলে গেছে মগজ !
অথচ চেয়ে দেখ, সবার হৃদয়েই আছে কি দারুণ ভালোবাসা।

যারা ভালোবাসতে জানে, তারা জানে--
রাতের তারা, সন্ধ্যার কবিতা- এসব কেবল সময় কাটানোর ফন্দি
ভালোবাসায় বন্দি মন পড়ে থাকে দূরে,
ডানা মেলে যায় উড়ে মাইল হাজার বারো।