আজও যে কোন নারী চলে গেলে বাঁকা পায়ে
এপাশ ওপাশ দমকা হাওয়ায়
টের পাই কামনার অস্তিত্ব, লেগে যায় ঘূর্ণিবাতাস;
তোমার যেমন চাহিদা একটি পুরুষের, আমারও তেমনি একটি নারীর।
স্বেচ্ছায় জলে পা ডুবিয়ে,
উচ্ছ্বাস দেখে জলের বুকে- নাম দিয়েছ জলোচ্ছ্বাস !
ভ্রান্ত আমি মাতাল হলে -
স্বেচ্ছাচারী বদ্ধ প্রেমের যোগাশ্রয়ী হিসেব-নিকেশ
চুকিয়ে দিয়ে নিশি জেগে কে আমাকে রাখবে জাগিয়ে?
প্রতি রাতে কত নারী বেহিসাবি প্রেম করে আমার সাথে
আনাড়ি তুমি রাখো সে হিসেব ?
তৃষ্ণার্ত তুমি বিঁধে আছো কেবল আমাতেই !
আর আমিও কাটিয়ে ফেলে কয়েকটি অপূর্ব সন্ধ্যা
সাগরের জল ডানায় কেটে ভর করি তোমারই দুয়ারে।
প্রেমের এই রিহার্সাল বন্ধ করে চলো একবার জেগে উঠি
জীবনের মঞ্চটা কাঁপিয়ে দেই;
পর্দা পড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখতে পাবে --
যারা এতদিন ভয় পেত ভালোবাসতে,
তাদের ঠোঁট লেপটে রয়েছে অন্য কোন ঠোঁটে !
ভেবে দেখেছে,
আমাদের প্রেমটা হয়ে গেলে কি দারুণ ব্যাপারটাই না হয়ে যেত !
আঁধারের বুক চিরে উদিত হতো সকালের মৃদু ঊষা।
তারচেয়ে চলো রেখে দিয়ে পুরাতন পটভূমি
সাধ্যের মধ্যে কিনে ফেলি সবটুকু ব্রহ্মাণ্ড,
কালের নীরব সাক্ষী হয়ে ঝেড়ে ফেলে অসময়ের চিত্রনাট্য-
বেড়ে উঠি দুইদিকে দুইজন, হয়ে এক বনসাই।