হে অল্পভাষী অপরিণামদর্শী প্রেমিক,
ভালোবাসা ও অবহেলার মত পরস্পরবিরোধী যুগল শব্দে তুমি লিখতে চাও কোন মহাকাব্য ?
নারী হৃদয়ের ব্যাকুলতা ভরাতে চাও তোমার কোন কাব্যিক উপমায় ?
স্রোতের বিপরীতে দাঁড় টেনে পালে যে হাওয়া তুমি লাগিয়েছ
সে হাওয়া ঘূর্ণি হয়ে তোমাকে নিয়ে যাবে দূরে - আরও দূরে!
যদিওবা কাছাকাছি তুমি কোনদিনও আসতে চাও নি৷
আমার অপরাধের শীর্ষ ও সর্বশেষ সীমানাঃ কেবল তোমাকে ভালোবাসা।
নিজের ছোট্ট বুকে চপলতা ও চঞ্চলতায় লজ্জিত মুখে
হৃদয়ে যে তুলে দিয়েছি এক সর্বগ্রাসী ঢেউ
সেই চঞ্চল চপলা আমি তখন তোমার নবলব্ধ প্রেমিকা;
যা'কে তুমি আপন করে নিলে ঠিকই কিন্তু বশে নিলে না।
তোমার বৈরাগ্য ও উদাসীনতা আমাকে যে খুব বেশি সুখ এনে দিত তাও নয়
তুমি ভেবেছ,
সম্ভোগ পরের বিষয়, আপাতত আপনাতেই থাক
আপন আলোয়- আপন আলয়ে;
নিজের প্রতি যে বিতৃষ্ণা তুমি ধরিয়েছ তা কোন অসুখ নয়-
ভেবেছ তোমার এই খামখেয়ালীপনা বুঝি নারী হৃদয়ের কাম্য,
ভুল পুরুষ বেখেয়ালে জলাঞ্জলি দিয়েছ নিজ যক্ষের পৌরুষ,
যে নিজের শরীর চিনে না- নিজেকে ভালোবাসে না
অন্য আরেক সত্ত্বাকে কি ভালোবাসা সে দেবে?
বিদায় ঊষা লগ্নে হে প্রিয় এই হোক কামনা-
বেপরোয়া জীবনের গতিতে ভেসে যাওয়ার আগেই শুধরে নিও নিজেকে
অদম্য ইন্দ্রিয়শক্তিতে নিজেকে করে নিও শাণিত
দুর্নিবার গতিতে চলতে চলতে কখনোবা থমকে যেও- দেখে নিও নিজেকে
প্রণয়ের রঙে ও রূপে যা আমিও দেখেছিলাম তোমার চোখে ।