নৃশংসতা
জাহিদ খান

নীরব রাত ভেঙে যায় চিৎকারে,
আর্তের ব্যাথাতুর কান্নায় স্তব্ধ প্রকৃতি,
কোথাও কেউ আজও নীরবতার শহরে,
মলিন হাত দিয়ে আঁকে নৃশংসতার ছবি।
আকাশের বুকেও যেন দগদগে ক্ষত,
তবু তারার ঝিলিক চাপা পড়ে
মানুষের মিথ্যা আশ্বাসে।

রক্তে ভেজা মাটি চিৎকার করে উঠে,
শিশিরের বদলে যেন রক্ত ঝরে পাতায়,
নিরীহ শিশুর কান্না হারিয়ে যায়
যুদ্ধের তাণ্ডবতালে।
মানবতার মুখোশ খুলে ফেলে যখন,
নখের আঁচড়ে আঁকা হয়
ধ্বংসের নকশা।

পাহাড়ের মাথায় কালো মেঘ জমে,
বৃক্ষের ডালপালা কাঁপে শূন্যতায়;
এ যেন নীরব প্রকৃতির কান্না
অসহায় পৃথিবীর পানে।
নদীর জলে বয়ে যায় মৃতদেহের কাহিনী,
মানবতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা
নৃশংসতার সাক্ষ্য।

প্রশ্ন জাগে মনে—
কবে থামবে এই উন্মত্ততা?
কবে ফিরবে সেই শীতল সুবাস
শান্তির বাতাসে?
কোথায় হারালো মানুষের মন,
যে মন একদিন পাখির ডাকে জেগে উঠত
ভালোবাসার সুরে?

নৃশংসতা ছিঁড়ে ফেলুক মানবতার মুখোশ,
আর জাগুক হৃদয়ে নতুন আলো—
প্রেম, শান্তি আর বন্ধুত্বের।
তবেই হয়তো ফিরে আসবে
সেই হারানো ভোর,
যেখানে নৃশংসতার কোনো স্থান নেই,
অনাগত ভবিষ্যৎ হোক শান্তির।