এক হাতে অন্ধকার, এক হাতে পূর্ণিমা
দু চোখে এক সহস্রাব্দের রোমন্থন 
তৃষ্ণার্ত প্রাণ মৃত্যু সুধার খোঁজে;
দিগ্বিদিক ছোটে ছায়াপথ থেকে ছায়াপথ। 

অভিশপ্ত এক আত্মার মত অমর আমি 
পূনর্জন্ম নিয়ে বার বার ফিরছি পৃথিবীর বুকে। 
তন্দ্রার ভেতর জেগে থাকা এক অসীম সত্ত্বা 
অবিরাম বাড়তে থাকা মহাবিশ্বের মত। 

ধূসর আমার চোখে ধরা দেয় ট্রয়ের ধ্বংস লীলা,
ধরা দেয় ওয়াটারলু, পলাশীর প্রান্তর!
হিরোশিমা-নাগাসাকি কিংবা ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়া। 
সাক্ষাত আমার চোখে বসে একাত্তর, 
পঁচাত্তরের অন্ধকার, পৈশাচিক প্রলয়
শেয়াল শকুনের যৌথ খামার বেড়ে উঠে 
অন্ধকার ভোজের মহোৎসব তুঙ্গে!

মরুভূমির মত বিস্তীর্ণ রাত ধরা দেয় আমার চোখে 
তার বুক বিদীর্ণ করিনা বলেই
আমি দুঃস্বপ্নচারী নিশাচর! 
রাতের বুক জুড়ে জেগে থাকা এক অতন্দ্র জাতিস্মর। 
শতাব্দী থেকে শতাব্দীর বাঁকে অন্ধ রাতকে ফেরাই
নতুন অন্ধকারের টানে
তন্দ্রাহীন রাতের গহীন সংগীতে!

রাত তুমি ঘুমিয়ে যাও-
আমার আরো কিছু দুর্বোধ্য অন্ধকার দেখা বাকি!