কেমন আছ তুমি?
- তুমি যেমন রেখছ।
- চুপ হয়ে রইলে কেন?
- কিছু বল?
আমার বলার কোন ইচ্ছে নাই।
- তুব আমি শুনতে চাই
- সে দিন কী হয়েছিল?
- আসনি কেন আসবে বলে?
- সারা দিন বসে ছিলাম
তোমার পথ চেয়ে
কাজী অফিসে।
জানতাম আসবে তুমি
বসে রইবে আমার পথ চেয়ে।
- জানতে তুমি?
তাহলে আসনি কেন?
চুপ হয়ে থাকবে না বল কিছু বল।
তুমি এখন কী করো?
- কথা গুরাবে না
আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।
- আমি এখন ঝরনার
পাথরের মত।
ঝরনা ধারা আমাকে যতই
ভিজিয়ে যাক।
আমি প্রতিক্ষণে শক্ত।
হয়তো তাই আমি আজও
সেই শক্ত পাথরের বক্ত।
-হাঁসি পেলো।
হাঁসলে কেনো?
-তোমার কথা শুনে।
আমি আর আগের মতো
আবেগি কথার বোলে
নিজের প্রশ্ন যাই না ভুলে।
কেন জানি আমিও এখন
পছন্দ করি শক্ত মনের
মেয়েদের কে।
- তুমি করতে থাকো
তোমার যা মন চায়।
আমি আমার প্রশ্নের উত্তর চাই।
একটু নাড়া ছাড়া করলে
সে দিনের কথা।
আমার চিত্তে অগ্নি সিখার রূপ
নেয় জমানো ব্যথা।
ব্যথার পিড়ায় আমার নয়ন
থেকে বয়ে যায় অশ্রু ধারা।
- তুবো আমি শুনবো
আমি তোমাকে কাঁদাতে চাই।
সে দিন কী আমার নয়ন থেকে
পড়েনি কোন জল ঝরে?
সেদিন তোমায় বিষাদের জল
যায় নি ছুয়ে।
এই ধরনের শব্দ কী আমার মুখ
থেকে গিয়েছে তোমার কর্ণ মাঝে?
শুন শুন তাহলে।
তুমি যখন আমাকে ফোন করে
বলে ছিলে।
বাসা থেকে বের হতে।
তখন আমার চিত্তে বয়ে আসে
ভাবনার শুনামি।
তুব আমি শক্ত মনে
তোমার কথা ভেবে।
বাসা থেকে রাস্তায় বের হতে।
হঠাৎ আমার মনে হলো।
আমি পাহাড়ে হাঁটছি।
পৃথিবী আমার চার পাশে গুরছে।
আমি পড়লাম মাটিতে লুটিয়ে।
আর কিছুই নেই মনে।
মা-বাবা নিয়ে গেলো হাসপাতালে।
- ও আমাকে বিয়ে করার ভয়ে
মাটিতে পড়ছ মাথা গুরিয়ে।
তুমি বলছ কথা অগোচালো।
তুমি না এই কথা গুলো শুনতে
চায়েছিলে?
কিছু বলোনা আমার পুরো
কথা শুনার আগে।
- আচ্ছা ঠিক আছে বলো।
তিন মাস নাকি
আমি মাকে চিনতে পারেনি।
মায়ের কাছে শুনেছি
আমি নাকি
রূপালী রূপালী বলে
ডেকে উঠতাম।
- ও তাহলে তুমি অন্য কোন
মেয়েকে ভালবাসতে?
বিয়েটা হয়নি ভালোইত হয়েছে।
তুমি আমার পুরো কথা নাও শুনে।
মা আমাকে জিঙ্গেস করেছিল।
রূপালী কে?
ঐ নামটা আমি রেখেছিলাম ঠিক করে
বিয়ের পরে রূপালী নাম দরে
ডাকবো তোমার বোউ মা কে।
আমি তোমাকে মনে মনে
এই নামে।
অসংখ্য বার ডেকেছি
কিন্তু কখনো বোলিনি
তোমার সামনে।
এখন চুপ হয়ে রইলে কেন?
বলো এবার তোমার যা বলার।
-মনের আকাশে
বেদনার কলো মেঘ জমেছে।
আমি দেখতে পাচ্ছি
বেদনার মেঘ গলা জল
তোমার নয়ন মাঝে
থৈই থৈই করছে।
যখন ফিরে পেলাম চেতনা
আমায় ছুয়ে যেতো প্রতিক্ষণে
তোমার ভাবনা।
সবল হয়ে খুঁজে ছিলাম তোমাকে।
সম্বাব সকল জায়গায়।
খুঁজে নিরাস চিত্তে
ফিরেছিলাম আপন গৃহ বিত্তে।
তুমিতো আমার উপর অজানা অভিমানে
দেশান্তরি হয়ে গেলে।
আমিতো ভাবতে পারে নি
আজ এমন করে।
তোমার সাথে আমার দেখা হবে
তুমি অনেক বদলে গেছ।
- তুমি ও।
হাতে ছুড়ি পরনে শাড়ি।
আচ্ছা তোমার কি বিয়ে
হয়ে গেছে?
- সব কিছু থাকে না
সবার ললাটে।
-অনেক বার ভাবনার সাথে
আলাপ করেছিলাম।
-আমার মনে বন্ধি তোমার কথাকে
মুক্তি দিতে।
-স্বাধীন মনে বাকি টা পথ চলতে
-কিন্তু পারিনি বন্ধি কথাকে
মম চিত্তে রেখেছি যতন করে।
- মনে আছে তুমি বলতে
তোমার আমার বিয়ের পরে
আমি যেন পড়ি
কালো ব্লাউজ ছায়া প্রিন্ট সাদা শাড়ি।
-দেখ আমি সেই বেস নিয়েই আছি।
ঠিক আমার বোউ এর মতো
-তোমার বোউ এই সাজে সাজে?
সাজবে না কেন?
-তোমার ওতো সাদা পাঞ্জাবী গায়ে
ঠিক দুই জনের বিয়ের পরে
তোমাকে বলে ছিলাম পরতে।
তোমার বোউ আমার দেয়া
এই সাজটা পছন্দ করে?
সে পছন্দ করে বলেইতো
এই সাদা পাঞ্জাবি আমার গায়ে।
- তোমার বোউ কী খুব সুন্দর?
তোমাকে কী করে অনেক আদর।
খুব ভালবাসে তাই না?
না জানি না।
-তার মানে তুমি আমার কথা
-মনে রেখে তার সাথে
-করোনা মেলা মেশা?
-ভালো না এসোব কিন্তু ভালো না।
-তার পর তুমি এখানে কেন এসেছ?
বোউ কে খুঁজতে।
-সে কী বাসা থেকে
বের হয়েছে জগড়া করে?
-তোমার বোউ কী খুব অভিমানি?
হে খুব।
-তাহলে ঠিক আছে
-যাও বোউকে খুঁজতে যাও
-দেখ কোথায় খুঁজে পাও।
-আবার আমার সাথে দেখলে।
-তোমাকে এক গাদা প্রশ্ন করবে।
আগের পরিচিত কি না?
-আমার জন্য তোমার অশান্তি হোক
আমি চাই না।
তুমি ঠিক আগের মতোই আছ
সব প্রশ্নের উত্তর নিজে তৈরি কর।
ঠিক আমার বোউ এর মতো।
তুমি কী কোন চাকরি করো?
-স্কুল শিক্ষিকা।
-তুমি?
সামান্য একটা চাকরি।
-তোমার বোউ কী সারা ক্ষণ
চার দেয়ালে মাঝে বন্ধ থাকে
নি কিছু করে?
স্কুল শিক্ষিকা
-আমার সাথে খুব মিল।
হে তোমার মতো
কথায় কথায় করে রাগ
নিজের ভুল নিজে বুঝে
দেখায় আবার সোহাগ।
-কী বলেছ?
-আমার মতো রাগ?
-এই রকুম রাগ নেই আমার কাছে।
-এটা তোমার বোউ এর কাছে
থাকতে পারে।
-আচ্ছা আজ উঠি।
-আমার অভিযোগ মাখা প্রশ্ন
গুলো তোমায় দিয়ে দিলাম।
-কিছুটা সময় অজানা কথার
সাগরে ভাসলাম।
-খুঁজে পেলাম অজানা উত্তর গুলো।
-বিধির লেখা যায় না মুছা।
-জেনেও অজানা কথা।
-শূন্য হৃদয় নিয়ে হচ্ছে ফেরা।
-আজ প্রশ্ন গুলোর হলো ছুটি।
-তোমার বোউ কে যদি
এক পলক দেখতে পারতাম।
দেখার মতো দেখলে
দেখতে পাবে।
-তোমার বোউ কী সর্গের হুর
যে দেখতে হলে আলাদা চুক্ষু
লাগবে?
মিশে আছে তোমার মাঝে।
তোমার অন্তর চুক্ষু দিয়ে দেখ।
দেখতে পাবে।
-তুমি ঠিক আগের মতো
কথা গুরিয়ে পেচিয়ে বলো।
সরল করে বল ো না।
আমি সরল করেই বলি
তুমি বুঝতে পারনা।
আমি তোমার অনেক প্রশ্নের
উত্তর নিয়েছি খুঁজে
তোমার বিতর থেকে।
একটু সময় নিয়ে দেখবে ভেবে।
পেয়ে যাবে আমার বোউ কে খুঁজে।
তখন আমি নিজে গিয়ে
আমার বোউকে নিয়ে আসবো তোমার
থেকে।
তুমি আমার প্রথম
তুমি আমার শেষ
তুমি করেছ অভিমান
করেছ আবার আদর
তোমার কথার বন্ধনে
বাস্তব দেখ আমার দৈনন্দিন
জীবনে।
আজও খুঁজি তোমায়
রেখে স্বরনে।
পাশে কী থাকতে চাও
আমার বাকি জীবনে।
-তোমার হাতটা আমার
হাতে রাখবে।
কী আমার বোউ কে খুঁজে পেলে?
-মনতো বলছে খুঁজে পেলো
-বলতো আমি এমন কেন?
-কেন পারি না তোমার কথা
বুঝতে।
এই পাগলি কাঁদছ কেন?
বিয়ের দিনের জন্য কিছু রাখ।
-ঐ খুশির দিনেও কী কাঁদতে
হবে নাকী।
ঐ দিন তো সব মেয়েদের কাঁদতে দেখি।
আর আমি ভাবি
ওরা কেন কাঁদে?
-এই দেখ দেখ তোমার বোউ হাঁসছে।
আমি এই হাঁসিটাই দেখতে চাই
বাকিটা জীবন দরে।