যেখানে যখনি জীর্ণতা আর
আঁধার আসিছে নামি-
যেখানে আসিয়া বন্ধুর পথে
পথচলা গেছে থামি;
সেখানে তখনি বজ্রের ন্যায়
আলোকিত করি সব-
দামামা বাজিয়ে জানান দিয়েছে
আঠারো  আঠারো রব।

যেখানে যখনি অনাচার আর
জুলুম পেয়েছে ঠাঁই-
অসহায় সব সত্য কলম
গুণীর মূল্য  নাই;
আচমকা সেথা আঠারোর বেশে
মালাইকা করে ভর-
জালিম,শোষক,পাপাচারী সব
কাঁপিয়াছে থরথর।

বাহান্ন থেকে চব্বিশে আজো
আঠারোর পদ ছাঁপ-
আঠারো চোখের বালি করেছে
অসত্য আর পাপ;
আমাদের এই আঠারো কখনো
হবে না ধূসর,ম্লান-
আঠারো যেদিন থাকিবেনা ভবে
পৃথিবী হারাবে প্রাণ।

আঠারো আমার, আমি আঠারোর
যতদিন রবো বেঁচে-
ততদিন যাবো আঠারোর সাথে
এক সুর-তালে নেচে;
আঠারো থাকুক শ্বেত কণা হয়ে
এদেশের নালী ভরে-
আমার আঠারো সঁপিয়া দিলাম
বাংলাদেশের তরে।