জন্ম একদিন হয়েছে যার
শৈশব কৈশোর আসে;
যৌবন এলে গায়ের জোরে
হাওয়ার উপর ভাসে।
শক্ত-পোক্ত,মোটাসোটা
সুঠাম দেহখানি;
অহংকারে বাহুর পেশির
করে বস্ত্র হানী।
প্রেমের নামে মাকড়সাকে
হারায় নিত্য বেলা;
পাতায় ভাসে শিকার গুলোর
জীবন মরণ খেলা।
সমাজ ভোলে,ধর্ম হারায়
ময়ূর পেখম মেলে;
সাতে পাঁচে তেরো বানায়
গায়ের জোরে ঠেলে।
আদব-আচার উড়িয়ে দেয়
বিড়ির ধোঁয়ার সাথে;
কে বড় আর কে যে ছোট
কি যায় আসে তাতে।
শিকড় ভোলে,স্রষ্টা ভোলে
চিনে শুধু টাকা;
নাস্তিকতার ঝাঁণ্ডা তুলে
গুলি ছুড়ে ফাঁকা।
আস্তে আস্তে দিন ফুরিয়ে
ঘোর অন্ধকার আসে;
বৃদ্ধকালে নিত্য মরে
কেউ থাকেনা পাশে।
ধুলায় মিশে অহমিকা
দাপট ক'দিন থাকে?
মহাকাল তার পাতায় পাতায়
এসব লিখে রাখে।
হয়তো কেহ শেষ জীবনে
বাচে বিলাসিতায়;
অবশেষে ঠিকই যাবে
কবর কিংবা চিতায়।
কিসের এত অহমিকা
কিসের এত বড়াই?
যে দিয়েছে জীবন তোরে
তাঁহার সাথেই লড়াই?
তার কাছেই তো ফিরতে হবে
হয়তো দু'দিন বাদে,
মিছেমিছি পাপের বোঝা
নিচ্ছ কেন কাধে?
সময় আছে,শুধরে নিও
তওবা করো আজি
আলোর খেয়ায় ডাকেন তোরে
মদীনার ওই মাঝি।