দেশটা চলে কার ইশারায়,
বলতে কি পারো?
তুমি অনেক জ্ঞানী তবু
এ প্রশ্নটা ছাড়ো।
হয়তো বলবে মন্ত্রী আমলা,
নেতা কর্মীই হবে
বোকার রাজ্যে আছো তুমি
ভেবে নিও তবে।
ভাবছো বুঝি খুব নিরবে
প্রশাসনের কথা,
ধরে নিও বৃক্ষ ছেড়ে
ধরছো গাছের লতা।
এবার তুমি বলবে হেসে
বুঝে গেছি আমি
দেশটা কেন?তামাম জাহান
চালান জগৎ স্বামী!
বলছি তবে এছাড়া কি
কোন কিছু জানো?
সব ব্যাপারে যখন তখন
ধর্ম কেন টানো?
তোমার কত জায়গা জমি
নয় কি ওসব খোদার?
মালিকানায় নামটা কেন
লেখা আছে তোমার?
রাগ করোনা,বলছি আমি
আসল কথা এবার,
এমন কিছু মানুষ আছে
পা চেটে যায় সবার।
যে যতটা চাটতে পারে
শক্তি ও তার ততো
চাটতে চাটতে নেতার পায়ে
সৃষ্টি করে ক্ষত।
নেতাও যায় পঙু হয়ে
শক্তি ও নেই পায়ে;
শক্তি জোগায় সেই চাটুকার
থেকে ডানে বায়ে।
বুঝছো এবার,ক্ষমতা কার?
দেশটা চালায় কারা?
ছোট বড় সকল কাজে
বিদ্যমান এই ধারা।
কেউবা এদের চামচা বলে
কেউবা বলে তেলবাজ;
আমি বলি মানুষ রূপে
ওরাই দেশের যমরাজ।
চাটুকার বা পাতি নেতা
গোত্র নহে অন্য
রূপটা তাদের চিনে রাখো
দেশ বাচানোর জন্য।
আমার অনেক ভয়ে আছি
এই সমাচার লিখে;
কখন জানি আমায় এসে
ঢোকায় চৌদ্দ শিকে।
চাটুকারের সমাচারের
এবার টানছি ইতি
বাড়ছে ভীষণ ক্রমেই আমার
তাদের প্রতি ভীতি।