নিজেকে জানো
একটি আধ্যাত্বিক কবিতা।

অজুদে মজুদ খোদা নহে জোদা
কে খুঁজে মরিস তরা নাকি হয়রান তরা
নজুলের আহাদিয়াতে ছিলো পরওয়ার গঞ্জো মুখফিতে খোদা, খোঁজলে পাবি তরা।
নয় বাতুন ঘুরিয়া এবার আসিলো সাঁই আলম এনছানে--
মুসাফির বেসে তাই ঘুরি পথে ঘাটে,
ঘুরি দিবানিশি মনুষ্য অন্তরে অন্তরে
তোমারে খুঁজি দয়াল মানুষ মননে।
পাঁচ জাতের পঁচিশ গুনে আপন অজুদ খারা করে,
সপ্তম ছিফাতি শক্তির গুনে নিজেই সাঁই ভ্রমণ করে।
কে আছিস তরা এমন ধরা কুলে খুঁজবি যখন
দয়বান জ্বীন ইনসান মালিকেরে!
তরা যা জেনে আজ,জেনে যা, শুনে যা আজ মহা মহিমের বাণী
রুহু নফছ আর দেলের বলে তেফেলিতে আসিলো পূর্ণ কালেমার হলো ধরনী।
জাতি নুর হইলো সহুদ আদমি এই অজুদে
হা, হে, হু, নগরে প্রেম খেলা অবিরাম চলে,
সেই খেলার জোশে হুহুহুহুহু শব্দ এসে
ধাক্কা মেরে নিয়ে যায় হাহুত নগরে।
ভাবি নিরন্তর,জ্ঞানান্বেষণে এই মন
শুনেছি ও-ভাই কতোরুহু আছে ঐ রুহের জগতে।
আহনাফ কৃপাগুনে ঘুরে এলাম
ওরা ওয়াল ওরা মোকামে।
মুসাফির ফেরিওয়ালা ভেবে অবাক
এক রুহুতে অজুদ মাজার,
পাঁচ রুহুতে জগৎ মাজার
মূলের ঘরে পাঁচ রুহুই হয় সবাকার।