অতর্কিত মৃত্যুর খবর এখন তেমন বিষ্ময় জাগায় না
মনাকাশে বিষন্নের নীল রং বেদনার্ত করে না।
বিষবাষ্পের ঝড়ো হাওয়ায় পাল তুলে আগুসার হচ্ছি---
আদতে তোয়াক্কা করছি না কোনোকিছুর।

ছন্দের তালে তালে দোদুল্যমান দুলছি....
উন্মাদনার জেরে কেঁপে কেঁপে উঠছি।
হয়তোবা
আকস্মিক ঝড়ের ঝটকায় ছন্দপতন হবে অসার্থক জীবন;
হয়তোবা না।
মেনে নিছি---
মানিয়ে নিয়েছি মৃত্যুর সাথে;
সময়ের সাথে।

জীবন মূল্যবান--বিশাল পাহাড়সম ;
জীবন মূল্যহীন --ঠুনকো দেশলাই ,
জ্বলে-নিভে--আসে-যায়।

জীবনের অস্তিত্ব হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছি।
কখনোবা
মায়ায় পড়ে যাচ্ছি ;
কখনোবা
জীবনের বাইরে অন্তিম মহাজীবনের প্রতি আকর্ষণ জাগিয়ে তোলায় রত থাকছি।

কখন পারি ;কখন পারি না।

মন-নদীর বহতা স্রোত মিলমিশ খাচ্ছে--
স্বাদু পানির সাথে -নোনা পানির ;
ধূসর জলের সাথে-ধবল জলের।

বহিরাত্মা-অন্তরাত্মার আকছার আকচাআকচি চলে নিয়মিত
নতুন করে পৃথিবীর প্রতি একটা টান অনুভব করছি
গত হওয়া অনেককিছুই নতুন করে রোশনি বিলোচ্ছে।

নিত্য প্রেমে পড়ছি স্নিগ্ধ ভোরের ,
সুবর্ণ রৌদ্রময় খরতাপের-
আধো-ছায়ায় ঘেরা বিকেলের-
ঈষৎ রক্তাভ গোধূলির--
সন্ধ্যার আড্ডার ও চিকন-মাঝারি জোৎস্নার আলোকছটায়।

ভালোবাসা গজিয়ে উঠছে মানুষের প্রতি,
জন্তুর প্রতি
বৃক্ষের প্রতি
পুষ্পের প্রতি
পাখির প্রতি
সাগরের গর্জনের প্রতি
ও নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের প্রতি।

যমদূত নিত্যদিন উঁকিঝুঁকি মারছে;
উসকে দিচ্ছে রকমারি আবেগ-অনুভূতি।

কবে জানি ফসকে যায় অনাবাদি অনাদৃত মহাত্মা।
সবকিছু সয়ে যায়--সয়ে নিতে হয় ;
সহায়হীন জীবন-মহাশয় তা ভালোই পারে।

পৃথিবীর সুন্দরতম মানুষ এমনি ঘটা করে সামিল হচ্ছে অন্তিম যাত্রায় ;
ঘটাহীনভাবে।

'পজিটিভ' জিনিস টা ও হালের দুষে দন্ডিত-- মহামারীর অভিঘাত হানা বিষাক্ত ছোবল।

দূরজন থেকে স্বজনে ধেয়ে আসা বায়ু চোপ মারছে;
হামলে পড়ছে সপরিবারে।

মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে----
শমনের সমন জারি চলছে দেদারসে;
জনম খুইয়ে পরজনমে।

মৃত্যু ঢেকে রেখেছে---
ডানে-বামে; আগে-পিছে।
মৃত্যুপুরীর ধূপ জ্বালানো ধোঁয়াটে গন্ধ  বাতাসে ভাসছে----।।