সমুদ্রের নোনাজলে বিছিয়ে
নগ্ন চরণ দুটি
সিক্ত হয়ে আলগা করে
অগুনতি কলুষ মুঠি।
উছলায় আবেগ জাগে ভাব
তরঙ্গ হেঁচকা টানে
হিমশীতল শৈত্য বহে
প্রবল প্রবাহে দেহ-মনে।
এ-সব কি মিলে কভু
ব্যস্ত শহুরে ধোঁয়ায়
ঝড়ের দুলুনি থরে থরে কাঁপায়
সাগর বিথানে স্ফটিক বিহানে
মেলে ধরে পাখনা
ভাসাই পারাবার নীরে
আঁধার ক্লিষ্ট যাতনা।
গৌধূলি লগনে মনের গগনে
উড়িয়ে কামনার ঘুড়ি
তন্নতন্ন করে কুড়িয়ে বেড়াই
কষ্টি পাথর নুড়ি।
জলরাশির লহরে অপার বহরে
হয়ে মিশে একাকার
অব্যাহতি পায় হরেক বিষাদ
থেকে অনবহিত নির্বিকার।
সাগর গভীরে মাছে দের সাথে
মন মজে নানা খেলায়
অপ্রাপ্তি বঞ্চনার বাণী সব
নিকড়িয়া নিগড়ে বিলায়।
ধ্বান্ত বিষাদ অকুল পাথারে
দেখায় ফরসা ধবধবে।
জলরাঙা ডাঙায় বরষার ঝর্ণায়
কফির চুমুকে হয় জবজবে।
মন হরষে আঠালো সরসে
ভিজায় আঁধার বাতি
তপ্ত তটে বালির পরশে
তৃষ্ণায় ফাটে ছাতি।
নীলিমার পানে অপার নয়নে
চেয়ে চেয়ে থাকি সারা
চিত্ত বসায় নৃত্যের ফাঁদ
হয়ে সর্বহারা।
জলতরঙ্গ বাঁকে গাঙচিলেরা ঝাঁকে
করছে উড়া উড়া
নিসর্গের খেলা অনিন্দ্য মেলা
হিল্লোলে মন মোড়া।