জন্মদিনগুলো আর
হাতের আদরে কাটে না,
আজও আমার মত
তোমায় নিয়ে কেউ এত ভাবে না,
ছাদে বসে, আদর করে খাইয়ে দেওয়া
শেষে কোলে মাথা রাখা,আঙুলের খেলা করা ।
গুছিয়ে দেওয়া অসংখ্য উপহার
এখনও ঘরে সাজানো
মা বলেছিল ফেলে দিতে,
ফেলে দেব বল কী!
আজও যে জীবনের তুমি সবকিছু
যার একটা কথা রাখতে,
ভুলে যাব, আছে যত টান পিছু।
সম্পর্কের কথা জেনে
বাবা বেল্ট দিয়ে পিঠে
এঁকে দিয়েছিল অসংখ্য সরলরেখা
হাতের সোহাগে যন্ত্রণা টা কমেছিল,
সেই দাগ গুলো আজও
শিরায় শিরায় খানিকটা জাগ্রত,
তোমাকে ভোলাতে পারিনি
সংঘর্ষ করে চলেছি অবিরত।
মনে আছে তোমার;
ঘরে খাবার পেতাম না,
আয়ের ২পয়সার খাবার পেটে যেতো
তোমার দু হাত, আমায় কীভাবে আগলে রাখত
মা বাবা খুব খুশি, নেই বলে আমার পাশে
তাচ্ছিল্যে ভরা যত্নটা তারা ভালই পারে
চোখের জলে রাত ভাসে
আমার মনের কথাটা তারা
আজও বোঝে না, অন্তর টা হাসে!
পাশের বাড়ির কুকুর, বিড়ালগুলো,
জাগতিক জড় পদার্থগুলো
আমায়, তোমার কথা জিজ্ঞাসা করে,
'প্রিয়তমা ভালো আছো তো?'
তোমাকে ভালো থাকতে হবে
তুমি আমার চোখের আলো
তোমার স্মৃতিতেই কেটে যাবে
জীবনের বাকি দিন গুলো।
গড়েছি যেমনভাবে প্রতিমা
তেমনই থেকো অন্তরে-বাহিরে
বাঁধন দিয়ে , আগলে রেখো
যেভাবে রেখেছিলাম সৌন্দর্য্যরে।
-১০.০৭.১৪