এক হও এক হও মাজলুম দুনিয়ার
উঠ ফের জেগে উঠ ছিড়ে ফেল কাটাঁতার।
দেখ আজ চারদিকে জনতার চিৎকার
অসহায় কাঁদে আজ হয়ে দেখ জারেজার।
আফিয়ার ক্রন্দনে মুখরিত আসমান
অবুঝ শিশুরা দেখ নিজ খুনে ভাসমান।
শাসনের নাম ধরে শোষণের চলে চাল
নবী নয় নেতা লয়ে রাজপথে হরতাল।
মানবতা ছায়াতলে দানবের হুংকার
সংঘের নাম ধরে শয়তানী দরবার।
কত দিন এই ভাবে থাকবরে ভব পরে?
কত দিন কেঁদে কেঁদে তার জলে ভাসবরে?
আমাদের খুন পিয়ে থাকে ওরা মহা সুখে
ফের কেঁদে জারেজার আমাদের শোক-দুখে।
নিচে নিচে গাছ কাটে অশুরের এই দল
উপরেতে কুলি সেজে সিঞ্চন করে জল।
মানবতা মুখে মুখে তুলে তার জয়গান
দানবতা ফের গড়ে করতেছে খুন পান।
সম্মুখ সমরেতে পীর পীর লাগে ভাব
রজনীর ঘোর তমেঃখুন পি'তে দেখে খাব।
সামনেতে এলে দেখি শ্রদ্ধায় ভরে মন
ভক্তি অতি হওয়া চোরেরই লক্ষণ।
ওরা চোর-বাটপার লোকায়িত শয়তান
জড় তুলে বৃক্ষের বাঁচাবার গায় গান।
সর্প হয়ে দংশে ঝাড়তে যে হয় ওজা
দেখলাম মালালার সেই চরণেতে পূজা।
নিজ ঘর ধ্বংসিয়া উসামার সব দোষ
নিজে গড়ে সন্ত্রাস মুসলিম দিকে রোষ।
নিজ ঘাড়ে শয়তান সব দোষ পর পরে
নিজে করে বিষপান দাওয়া কি পর তরে?
নিজ গেহে সাঁপ রাখি খোজাখোজি পর গেহে?
চুলকানি নিজ তরে মলম যে পর দেহে!!!
বেঈমান,সন্ত্রাস,মিথ্যুক,আওবাশ
ওরাই তো খুন পিয়ে নিরিহরে করে লাশ।
তেল দেখে আফগানে যায় চক্ষু আটকে
অবস্থা বেগতিক পররে সব সঠকে!
মধু খেতে দেছি বুঝি ভীমরুল নীড়ে হাত
উহঃ আহঃ ও বাবারেঃ কেমনে যে যাবে রাত?
মধু নেশা মিটে কিরে ভীমরুল ছোবলেতে?
গন্ডারের চামড়া আসবে হুল ফুটাতে?
কে রে শুনি এই কথা ভাবে নিজ মনে মনে
উপরেতে সাধু সেজে খুন চুষে ক্ষণে ক্ষণে।
শতক গেলেও তবু ভুলিনি তো সেই ক্ষত
বিদ্রোহ,সাইমুম ঘুচে নি তো সেই খত।
ভুলতে পারি নাকো মহীরুহে ঝুলে থাকা
ভুলব কেমনে আজ দন্ডের সেই ছেঁকা।
উঠ ফের জেগে উঠ বিদ্রোহী সেনাদল
চপলার মত উঠ দুর্জয়ী দলবল।
দেখ ফের সবে দেখ পশুদের শয়তানি
হাসতেছে রুঢ় হাসি মাজলুম বুকে হানি।
জগৎটা খাইলরে পুরে নিজ গ হবরে
হাকঁতেছে চিৎকার দানবের ভীম স্বরে।
আর কত বসে বসে দেখবরে এই সব
অঙ্গুলি চুষে চুষে দেহ জ্বলা কলরব।
ভাষণের উত্তালে হারিয়ে যে নিজ তাল
গলা ফাটা চিৎকার কিছু পরে সব জাল।
দেওবন্দী শ্লোগানে মুখরিত আসমান
নিজে সেজে খড়কুটো পঁচা বিলে ভাসমান।
এই ছিল সেই ছিল অমুকের তমুকের
নিজ কথা ছেড়ে আজ ভাব কিরে অপরের?
ওমর,খালেদ,আলী,সালাদীন আইয়ূবী
কির্তন রেখে সব সেই মত হও কভি।
অপরের গান গাই নিজ থলে পুরো খালি
মিষ্ঠির কির্তন তার পরে গুড়ো বালি!
বদরের সেই ঢেঁকু উঠে আজ বারবার
অস্ত্র তো দেখলেই পথ খুজি পালাবার।
বিনা দামে মাছ খাব পানিতে ও নামব না
অলদে দেওবন্দ! রাজপথে চলব না।
বাহাদুরী মুখে মুখে অগ্নি তো সমাবেশে
প্রাণ ভয়ে ঘর কোণে শিয়ালের থাকি বেশে।
শরীয়ত শরীয়ত চিৎকার নিজ মত
নামাজ যে ক্বাযা আছে হাজার বা শত শত।
দেওবন্দী আমিই আর জানি কেহ নয়
আমি ছাড়া আর কে রে সুন্নতী আজ হয়।
বয়ানেতে মুখ ফুটে শ্লোগান ও তাকবীর
কার্যেতে গিয়ে হই খানকায় আমি পীর।
ইফতারি করেছিনু বেগানার সাথে বসে
মুফতী তো আমি নিজে ফতওয়া দেই কষে।
গালি দিতে সেরা আমি দেওবন্দী আমিই
নামাজ যায় ঘুমেতে দেওবন্দী আমিই।
হেফাজতী অবয়বে মোটা হল গ হবর
অমুকের তমুকের দোষ গাই দিনভর।
গোলাপীর আচলেতে মজা পাই খুব বেশি
ইফতারি ধোঁয়া তার পাশে জমে বসি।
স্বার্থের তরে আজ লেবাছটা হয় বিকি?
ইসলাম বাদ দাও নিজেই বা পেলে টা কি?
এভাবেই হবে আজ দু'জাহান বরবাদ?
পুঁজি নাই কোন কিছু মরণের সওগাত?
আর নয় আর নয় হতে হবে এক সব
পরে থাক থাক পরে মতভেদী কলরব।
হেফাজতী ছায়াতলে এক হই সব মিলে
যত সব দলাদলি আজ ফেলি পদতলে।
দেখি আজ কই যায় দালালরা যতসব
কেমনেতে চুষে খায় স্বর্ণের এই ভব।
তন্ত্রের মন্ত্রের ঘাটি আজ কই গেল
ইবলিস শয়তানী আজ বুঝি ধরা খেল।
উঠ ফের জেগে উঠ দুর্জয়ী সেনাদল
অসীম সাহসে আজ বুকে আন ফের বল।
দামামার গর্জন তুল আজ চার দিকে
পরগাছা যতসব হোক আজ হোক ফিকে।
উঠ বীর উঠ ফের সিংহের গর্জনে
চপলার মত উঠ খেলাফতী দর্পণে।
ছুঁড়ে ফেল যতসব আজেবাজে মতামত
আমরাই তো গড়ব খেলাফতী রাজপথ।
রচনাকাল(সম্ভবত)
০১/১০/১৪ ইংরেজী
রচনাস্থল
উমরপুর বাজার মাদ্রাসা,ওসমানীনগর ,সিলেট।