রংগন নিজে নিজে হয় না শোভিত
নিজেরে বিলায়ে করে পরেরে মোহিত
পারাবার নিজ জল নিজে নাহি পিয়ে
অবনীরে উর্বর করে দেখ ধুয়ে।
কুঠার ছেদন করে সৃজিল যে ত্রাস
চন্দন বিতরণ করে যে সুভাস।
পরের সুখের লয়ে মরে ধুকে ধুকে
বিলায় সুভাস তার অপরের শোকে।
আলোকিত করে ধরা তপন-কিরণ
সমীরণ বহে মুছে জ্বলন-পীড়ন।
শশধর আভা দেয় সুশীতল ভবে
পয়োধর জল দিয়ে চলে যায় তবে।
তরুসব খড়া সয়ে ছায়া করে দান
তটিনীর জল পি'লে হয় নাকো ম্লান।
সবাই স্বার্থ ছাড়ে অপরের সুখে
দিবা-রজনীতে খাটে অপরের দুখে
তুমি ও ছাড়ো গো ভাই সকল স্বার্থ
নতুবা পথেতে তুমি হবে যে ব্যার্থ।
অপরের সুখ-দুখ নিজেতে জুটাও
শোক ছেড়ে সুখ পেতে নিজেরে বিলাও।
কষ্ঠ বিনে মিষ্ঠি পায় কিরে কেহ
নিজেরটা বাদ দিয়ে গড় পর গেহ।
তবেই লভিবে তুমি উভয় জগৎ
এপাড়ে ওপাড়ে হবে তুমিই মহৎ ।
রচনাকাল
রাত ০৯ঃ২০ মিনিট
০৪-০৮-২০১৪ ইং
(অনিচ্ছাকৃত শাব্দিক ভুল মার্জনীয়)