প্রতিদিন এক একলা সাজি।
একলা সেজে ঘুরে বেড়াই নিরব রাস্তা ধরে।
একলা সেজে ঘুরে বেড়াই সবুজ ডুকরার হাওরে।
আমার কল্পনা,ভাবনা আদান-প্রদান করি প্রকৃতির তরে।
একলা সেজে গান গাই সুর-বেসুরে।

আমার ভালো লাগে, জনহীন রাস্তা- নিরব স্তব্ধ।
মৃদু বাতাস-বাতাসের শব্দ।
উপর নীলকাশে রোদ্দুরে চিল ডানা মেলে ঘুরবে।
শিকারীর বেশে বসে থাকা বক আমায় দেখে উড়বে।
ক্ষেতে গেঁথে রাখা কাকতাড়ুয়াকে ভূত ভেবে
ভয় পাওয়া। ভয়ে পিছনে ঘাড় ফিরে ভীতুলোচনে
আড়ে আড়ে চাওয়া।
              
এসব ভালো লাগার অনুভূতিগুলো
কখনোই মিস করতে চাইনা।
তাইতো, গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আমাকে থামাতে পারেনা।

গ্রীষ্মের প্রখর রোদ!
হয়তো মানুষ জিজ্ঞেস করবে কোথায় যাচ্ছি
কেন যাচ্ছি, কোন কাজে যাচ্ছি।

ভরদুপুরে রোদে পুড়ে কেউ অকাজে হাটবে?
যেকেউই পাগল বলবে যদি শুনে আমি অকাজেই হাটি!

এজন্য এমন ভঙ্গি ধরি-
আমি কোন এক বিশেষ কাজে যাচ্ছি।
খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে হবে আমার কর্মস্থানে।
কারো কোন প্রশ্নে উওর দেওয়ার সময় নেই আমার!

কেউ আমাকে পাগল বললে বলুক।
আমাকে নিয়ে হাসলে হাসুক!
জনবহুল কোলাহল পরিবেশ আমার ভালো লাগে না।
আমার ভালো লাগে বাকহীন সবুজাভ প্রকৃতি
এজন্যই তো গ্রীষ্মের রোদে পুড়েও ‘এক একলা সাজি’!

-