তুমি আজ দুরে
তোমারে ডাকি না আজ আর কোন শ্রাবণ রাত্রে,
তোমার আসা যাওয়া বসন্তের কোনো এক ফাঁকে
সময়ে সাথে গমনের প্রশ্চাতে
ন'ঘন্টার ফুলের মতো সৌন্দর্য বিবর্তনে,
এই প্রেম আর প্রেমের নীল শরাব হাতে
চাইনি কখনো না চাওয়াতে দিয়ে যাও বারে বারে
সে যে আমি নই!এক অতিপ্ত আত্মার আহারে!
তোমার চলে যাওয়া
দিন ক্ষণ মনে নেই কবে কার কথা
রাত্রির আঁধারে কবুতরের নিখুঁজ হওয়া
আমাকে প্রদ্বিপ হাতে জাগিয়ে রাখা
নির্ঘুম চোখে বাতায়ন দিয়ে বারে বার চাওয়া
দুর ঐ পথ দিয়ে অগান্তুকের আনাগুনা
আর নিমের ডালে অশুভ পেচকের ডানার শব্দে
আমাকে ভাবিয়ে তুলা-
সেই যে যাওয়া আর ঘরমুখী না হওয়া আহা!
আমারে প্রেম না কর তুমি,ভালো না ভাসো
তোমার ভালোবাসা পাওয়া-চাওয়া
জানি,
নক্ষত্রের খেলা আর রাতের আঁধারে ফুটা অদৃশ্য পুষ্প ডুমুর
তোমার অন্তরে তোমার দেহে
তোমার রক্তে লোহিত বর্ণে
নিগূঢ় জলে মিশেছে কারো প্রেম
বহিছে খলখল জলস্রোতে,
বসে আছি একা-চারিদিক ফাঁকা
শূণ্যতার বাতাসে হ্রদয়ে দেয় দোলা
তপ্ত বালুর বুকে অদেখা অলিক বাসনা
পিপাসিত তুমি ফিরবে না আর
তোমার চলে যাওয়া টাইম মেশিনের যন্ত্রাংশের জং ধরা
সময় গড়িয়ে যায়-যায় বেলা
তবুও দন্ডায়মান-
মরিচা পরা পুরাতন ঘড়ির ঘন্টা,মিনিট আর সেকেন্টের কাটা!
এখনো হয়তো তোমার ঘুম ভাঙ্গে ভোর বেলা
আবছা আঁধারে শিশির ভেজা ঘাঁসে চরণ ফেলা
ঘাটে আর মাটে তোমায় বাহুতে আগলে রাখা
সেই দিন!
আমারে ভাসিতে ভালো আমারে প্রেম দিয়ে করেছ শিলায়িত হিমেল হাওয়া!
আমি চলে যাব
তোমাকে রেখে যাব এই পৃথিবী আর নক্ষত্রের নীচে
পৃথিবীর বহমান-বহমান নদী,সাগর,বহমান মানুষের আনাগুনা,
পাখিরা গাহিবে গান!নদীর কলতান
দিন আর রাত্রি নিয়ম করে উদিত নক্ষত্র গুলি,
তোমার ও দিন ফুরাবে নিয়তি
তবু ও তোমার অন্তরে তোমার দেহে
চাওয়া- পাওয়ার অমৃত লকলকে শিকারী টিকটিকির জ্বিব!
আজ আর আমাকে চিনিবে না তুমি
চলার পথে মানুষের ভিরে যদি দেখা হয়ে যায়
পলক ফিরিয়ে নেবে
চেনা পথ ভুলে
অচেনা পথে যুগল চরনের ধুলো
কারো নিখিলের মাঝে,
হায়!-যখন তুমি নিসংঙ্গ ছিলে
তোমার পাশে তোমার হাতে
তোমায় বাহুবন্ধনে
যতনে জীবন ও জনমে প্রেমের আবদ্ধতায় বেধেছিলাম
বিনা সুতার বন্ধনে,
তুমি গেছ চলে ছলনার তরে
জানি আসবেনা তবুও তোমায় ভালোবাসি প্রিয়া!