আমি যে হারিয়েছি শত জনতার ভিড়ে
তুমি খুঁজ নাকো আমায়-নাকি খুঁজেছ নিখিলের মাঝে,
একই গগণের নীচে-একই সূর্যের আলো-বাতাসে
বেঁচে আছি অপার ধরণি মাঝে,
আমি ও নিশ্চুপ-নিরব তোমাকে খুঁজিনি ক্ষনিকের তরে,
তুবু ও আছি দুজন;বিরহের মর্মপীড়া লালিত মননে-
এতদিনে ধীরে ধীরে হয়েছে যে ক্ষয়-ধরেছে কাঠ পোকা প্রেমে,
নষ্ট হয় ফসলি ক্ষেত গগণের প্রচন্ড ক্রন্দনে,
নাকি সতেজ রয়?
আমরা এখনো বেঁচে আছি,
নিজ কক্ষপথে পৃথিবী ঘুরে নিরবধি,
নক্ষত্ররা ও করে ছুটাছুটি,তুমি-বপন করেছ বীজ কাটিতে ফসলি জমি,
জানো কি?
পৃথিবীর পুরাতন রেখা হয়ে যায় বিলীন,
ফসলি জমি বিনিষ্ট হয়-উড়ে এসে পেট ভরে খেয়ে যায় ক্ষুধার্ত এক ঝাঁক ঘাসফড়িং;তারা,আলো,বাতাস চিরস্থায়ী;
আমরা চিরকাল বেঁচে থাকব কি?
মাঘে শেষে ফাল্গুনে বায়ু বেগে জারুলের পাতা ঝরে পড়ে,
রাতের অন্ধকারে জ্বীন-পরী খেলা করে,ভোরে
ঘাসের ডগায় মুক্তা হাঁসে,
এখানে কালক্রমে সময় সাপেক্ষে নিশীথিনির বুক ভেদে কৌমুদী হাঁসে,
তারপর অপেক্ষায় মানুষ বেঁচে থাকে চিরকাল।
যে ভাবে মানুষ চলে;
চৈত্রের খড়ায় আকাশের কাছে বৃষ্টি মাগে,দূর্যোগের সময় ত্রান খুঁজে ,
শান্তির ছায়ায় শরীর লেলিয়ে দিতে ভালোবাসে,অবশেষে;
প্রেম শেষ হয়ে গেলে সময়ের দাবী হয়ে উঠে-দায়ভাগী পুরাতন জমির কাছে।
দু দেশে আছি দুজন;
আজ ফসলি জমিতে অথৈ জল করে খলখল,
বর্ষার ভারি বর্ষণ,বাবুই পাখিটির বাসা হয়েছে তছনছ,
ভেঁসেছে গঙ্গায় কবুতরের ক্ষোদ,
আর ইঁদুর গুলো ভাঁসিয়ে নিয়েছে স্রোত,
বাকী নেই ডুবে যাবে পৃথিবী হবে মহাপ্লাবন,
এটাই তো স্বাভাবিক নিয়ম।
তবুও আমাদের ভগ্ন হৃদয়,
সময় হয়েছে - অসময়ে মরে গেছে সব,
উফ! যদি না ডুবিত-মরিত না যদি প্রেম,
না হতো ক্ষয়!