জেৎস্না রাত,নির্রঘুম চোখে
আমি তারে দেখি দু-হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে
শিউরের পাশে,তার আঁঁখি দুটি জলে গেছে ভরে,
আমি যে দেখলাম তারে ভ্রম মনে,
সে যে চলে গেছে আজি হতে এক যুগ আগে
অমরকাননে,শ্রাবনের রাতে।
ঘুরে গেছে অপার সময়ের দিবা-রাত
দুধের শিশু আজ দেখিতে কৈশোরপ্রাপ্ত,
তার মুখে পেয়েছে মায়ের মুখের দর্পণ চাপ,
আমি চেয়ে থাকি নির্বাক,ঐ যে বছর পাঁচেক আগ
প্রশ্নের কষাটে কষ্টে কেটেছে মোর নক্ত,
চলে গেছে সে,ফিরবে না আর
জানবে না সে মেয়েটার চৌদ্দ বছর আজ।
ওহ! পশ্চিম গগণে আইফেল টাওয়ারের ডগায়
দাঁড়িয়ে আছে বাঁকা চাঁদ,সারি সারি বাতি
প্লাবিত পুর্নিমা রাত,যুগলের পদচারণায় নিখিলে আহ্লাদ,কোন ছলে অন্তরে মাতাবো সুখানুভাব,
বাতায়ন দিয়ে মগজে ঢুকিতেছে,চার চাঁকার যানের
বিকট কান্নার আওয়াজ।
অশুভ পেচকের ডাক থেমে থেমে উঠে,
লাইট পোস্টের আলোয় পোকা মরে আলেয়া ভেবে, মাঁকড়শার জালে চেনা ভুত আটকা পড়ে,
তবু ও তো প্রভাতের অপক্ষায় দোয়েল প্রহর গুণে-
উষ্ণ অনুরাগে,জীবনের সংগ্রামে বেঁচে থাকার তাগিদে,আয়ুষ্কাল ভালোবেসে।
আকাশের চাঁদ আর তারার মেলা
উল্কারা করিয়াছে ছুটা-ছুটির খেলা-আমি দেখিয়াছি,
বিশাল আকাশ যেন-আলো আঁধারের ছলাকলা,
তবু মৃত্তিকার মাঝে ঝিলে-বিলে পদ্মের খেলা,
চাঁদ অস্ত গেলে তুমি দাঁডিয়ে রয়েছ ঝিলের পাড়ে
নি:সঙ্গ - একা, নিয়ম করে রেখেছে যে ঐ অদেখা
জগৎ স্রষ্টা,যেখানে তোমার সাথে এপারে জীবন আর আত্মার হবে না দেখা।
জীবনের আশা,প্রেম,ভালোবাসা
বিবাহিত জীবনের মধু চন্দ্রিমা,
সাধ,প্রণয়ে,
তোমার অন্তরে ছিলো না কোথায় কুহেলিকা,
রাখনি অতৃপ্ত কোন দোহদ,
জানিতে দিয়েছ জীবন আর মউ
তোমার পরশে ঘুমন্ত দেহ,মন
হয়েছিল উত্তাল উদধি বউ,
জানো তুমি পৃথিবীতে
পদচারণায়-পরিচালনায় জীবন
ঘুর ফিরে নীড়ে আসে
বিষাধ-ক্লান্তি,অশান্তি,
তুমি চলেগেছ
ভোগেছি আমি আর শিশু কন্যাটি।
রাত শেষ চাঁদ ডুব দিয়েছে,
কাল আসিবে আরেকটি রাত,
আসিবে পেচক,মাকঁড়শা,চেনা ভুতের
শুনা যাবে পন পন ডাক,
বাহ! দারুন
আমিও ডুব দিবো ঘুমের ঘরে
অচেনা ঘুম,রেখে যাব মেয়েটার কাঁধে
পৃথিবীর ভার।।