আজ একটি অনলাইন পত্রিক পড়ছিলাম হঠাৎ দেখলাম,গুন্টার উইলহেম গ্রাস (Gunter Wilhem Grass)। লোকান্তরিত হয়েছেন।অন্তরে খুব কষ্ট অনুভব করলাম,অজান্তেই চোঁখ দিয়ে জল বেয়ে পরলো,আমি এই বিশিষ্ট লেখকের একটি উপন্যাস পড়েছিলাম The Tin Drum'বইটি কলেজে আমার এক বান্ধবী উপহার দিয়েছিল। পত্রিকার সূত্রে কিছু লিখলাম:
গুন্টার উইলহেম গ্রাস (Gunter Wilhem Grass)। বহুপ্রজ, বিশ্ব পরিব্রাজক, কবি, কথাকোবিদ, নাট্যকার, চিত্রকর, ভাস্কর, ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাদী- গুন্টার গ্রাস লোকান্তরিত হয়েছেন ১৩ এপ্রিল, ২০১৫-তে, ৮৭ বছর বয়সে। গ্রাস জন্মেছিলেন ১৬ অক্টোবর ১৯২৭-এ। পোল্যান্ডে (অধুনা, Gdansk Wrezszez)।
তিনি লেখালেখি শুরু করেন ১৯৫০ দশক থেকে। গ্রাস বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তাঁর প্রথম উপন্যাস The Tin Drum' (১৯৫৯) লিখেই। এটা ছিল ‘ইউরোপীয় ম্যাজিক রিয়ালিজম’-এর উপজীব্য বিষয়। এটি Danzung Triology-এর অন্তর্গত। 'Cat and Mouse' এবং Dog Years এতে সন্নিবেশিত হয়। তাঁর সৃষ্টিকর্ম বহুলাংশে প্রগতিবাদী রাজনৈতিক মাত্রা স্পর্শ করেছিল। গুন্টার গ্রাস জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির [Social Democratic Party of Germany (SPD)] সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। The Tin Drum'' এই নামেই চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়ে দু’টি উল্লেখযোগ্য পুরস্কারে ভূষিত হয় (১৯৭৯)। Palme d'Or এবং Academy Award -শ্রেষ্ঠ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম হিসেবে। সুইডিশ একাডেমি তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে।
Whose frolicsome black fables portray the forgotten face of the history.' নোবেল পুরস্কারের প্রশংসার্হ সম্মাননায় এই বাণী উদ্ধৃত করা হয়।
এই শতকে, সমকালীন পৃথিবীতে গুন্টার গ্রাস 'WHAT MUST BE SAID (‘যে কথা উচ্চারণ করতেই হবে’) কবিতাটি লিখে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।
Why did I remain silent, silent so long, about something so clear we used in War games, where, as survivors, we are just the footnotes?
That is the claimed right to the formal preventive aggression
which could erase the Iranian people
dominated by a bouncer and moved to an organized jubilation,
because in the area of his competence there is
the construction of the atomic bomb.
আমি কেনই বা এতটাকাল নীরব-নিশ্চুপ ছিলাম
এই সব যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায়, যেখানে আমরা আসলেই ক্রীড়নক
আর এমনি ব্যবহৃত হচ্ছি, যেন আস্ত ‘ফুট নোট্স’।
সেটা হলো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি সিদ্ধ ওই আগ্রাসন প্রতিরোধের
হঠাৎ অসুর-আস্ফালনে লাফিয়ে ওঠা আর উল্লাসধ্বনিমুখর,
যেটা কিনা নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে ইরানি জনগণকে,
এই ওসিলায় যে, তাদের পারঙ্গময়তায়-ই ওই এলাকায় পয়দা হয় পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র।
এই দীর্ঘ কবিতার শেষাংশে গ্রাস দ্রোহিতায় উচ্চারণ করেন:
And I admit : I won't be silent
because I had enough of the Western hypocracy;
Because I wish that many will want to
get rid of the silence,
exorting the cause of a recognizable
risk to the abdication, asking that a free and permanent control
of the Israel atomic power
and the Iran nuclear bases
will be made by both the Governments
with an international supervision.
Only in this way, Israelis, Palestanians, and every body,
all people living hostile face to face in that
country occupied by the craziness,
will have a way out,
so us too.
আমি অবশ্য স্বীকার করি : আমি নিশ্চুপ থাকবো না আর
পশ্চিমা মোনাফেকি অনেক দেখেছি, আমি এখন কান্ত;
এই নীরবতা থেকে উদ্ধার চায় আরো অনেকেই।
ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্রেরও সম্পূর্ণ বিলুপ্তি চেয়ে
ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে।
সে দেশের গভর্নমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক তদারকিতে।
- এভাবেই শুধু ইসরায়েল, ফিলিস্তিন এবং প্রত্যেকেই,
সব জনগণ, যারা যেখানেই বিষমবৈরিতা নিয়ে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে,
বাতিক-আবর্ত দখলকৃত দেশে-দেশে-
তারা বের হয়ে আসার একটা পথ খুঁজে পাবে;
আর একই কথা আমাদের জন্যেও খাটে।
সভ্যতার সঙ্কট, প্রগতির বিবদমান আতিশয্যে গ্রাস নিজস্ব বিবেকবোধ ও চৈতন্যের দায় থেকেই শিল্পের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিলেন তাঁর জীবনব্যাপী।
সভ্যতা ও বিশ্বমানবতার পথে, গ্রাস দূতালি করে গেলেন বিপুল সাহসে ও প্রবল নির্ভীকতায়। তিনি তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়েই অমরতাকে জয় করে গেলেন। এ কথা আমরা নির্দ্বিধায় ও বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি।
সুত্র: বাংলারিপোর্টার।