দুরে কোথাও চলে যাই;ইট পাথরের ঘেরা শহর থেকে অনেক দুরে,
শুয়ে থাকি আমের বনে;সবুজ ঘাসের উপরে,
কান পেতে গান শুনি ঘুঘু আর শালিকের কন্ঠে;
চোখ মেলে দেখি;সাদা বকের মাছ শিকার কমলি লতার ফাঁকে;
দীঘির কালো জলে ছেলে-মেয়েরা নাহিবার কালে
রুই-কাতলার রূপালী আঁশের ঝলক
গাঢ় রৌদ্রে,
পাশের কাঁটা ধানের ক্ষেতে পাটি বিছিয়ে বধু নকশিকাঁথা বুননে;
মৃদু হাওয়া বকুল ফুল ঝরে
কুমারী সেই ফুলে মালা গাঁথে আনমনে।
ইচ্ছে হয় আমি হেঁটে যাই; নগ্ন চরনে কুয়াশায় ঢাকা প্রভাতে শিশির ভেজা ঘাসে,
চলে যাই;সাগরদীঘির পাড়ে হিজল গাছের নিচে,
রোদের দিপ্ত তাপে দীঘির জলে মুক্তা হাসে;
রাজহংসী টা সাঁতার কেটে কেটে-
চলে যায় ঝাঁক বাধা পানার আড়ালে,
যদি তার পিছু যাও;দেখবে অপার নয়নে
কারে যেন খুঁজে ঝুপের আড়ালে-
অত:পর সে চলে গেলো রাজহাঁসের সাথে।।