সেই শীতের কুয়াশায় সুচিত্রার নৃত্য দেখেছিলাম
নীরব চিত্তে, অন্ধ চোখে, নির্বাক তাকে ভেবেছিলাম
নিদারুণ আশায়, শূন্যের কারাগারে ভালোবেসেছিলাম
একসাথে ত্রীচক্রজানে জগৎ অন্বেষণ করেছিলাম।
তার চোখে যেনো প্রখর মমতার জাল বোনা
মুখে তার যেনো শতাব্দীর আলপনা আঁকা
চেহারায় যেনো তার একগুচ্ছ শশীর বসবাস
চোখ যে তার তিমির রাত, চুল অবেলার বৃষ্টি,
তার ইশারায় সকল পায়রা জড়ো হয় চিলেকোঠায়
তারই কথায় সর্বস্ব জোনাকি আলো দেয় নিশীথে
সে যে দিয়েছিল খড়া হৃদয়ে একচিমটি বৃষ্টির ফোঁটা
চাঁদকে অপমান করাটা বোধ হয় ভুল ছিল।
অভিশপ্ত পুনর্জন্মে যে আবার খড়া নেমেছে হৃদয়ে
একমাত্র তুমিই পারো এই ছেঁড়া হৃদয় সেলাই করতে
প্রেম মন্দিরে শুধু মোহ আর বিচ্ছেদ ঘোরাফেরা করে
প্রেমের পূজারীদের শেষ পরিণাম ভীষণ ভয়ংকর,
অতিথি পাখির মতন এলে আবার চলেও গেলে
কিছু সুখ খোলা চোখে উপভোগ করেছিলাম
এখন বন্ধ চোখের কোটরে বিষাদ দুঃখ বহন করি।
আকাশে এখন আর সাদা মেঘ দেখা যায় না
প্রকৃতিও আমায় অভিশাপ দিতে পিছু হটে না
কেনো প্রেমে পড়েছিলাম, কেনই বা কেঁদেছিলাম
এর শেষ কোথায়? এর সমাধান কি?