উঁচু গাছের ডালে বসে হ্যালান দিয়ে জীবনানন্দের কবিতার বই পড়ার অভ্যাসটা ইদানিং খুব বেড়ে গেছে।
কবিতায় ছন্দ দিতে গিয়ে বিষাদের গান আবিষ্কার হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও আমাকে অবাক করে না।
দেশ্লাইয়ের কাঠি দিয়ে সেই গানের পাতায় আগুন লাগিয়ে দেয়ার পাগলামোটাও মনে নাড়া দেয়।
আজকাল নিশিরাতের চাঁদ, সন্ধ্যাতারা আর জোনাকির আলো দেখে সুখস্বর্গ বোধ করার চেষ্টা করি।
এখন তো নতুন স্বপ্ন দেখার ইচ্ছেও আর করে না, মৌলিক স্বপ্ন পূরণ হোক আগে তারপর বাকি সব।
লক্ষ্মীপেঁচা দেখিনা আজ বহুদিন, নিস্তব্ধতা সটাং এসে বসে পড়ে হৃদয়ে, গোলাপে আর আগের মতো সুবাস নেই।
এখন আর ভূত দেখে ভয় পাই না, ভূত আমাকে দেখে অবাক হয়, হয়তো মনে মনে ভাবে, ‘’আমি কি সুন্দর হয়ে গেলাম? ব্যাটায় ভয় প্যাইল না যে‘’?
মশারা আমার রক্ত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এক ঝাঁক মশার দল কানের কাছে এসে বলে, ‘’এই মৃত্যুমুখী কার্ফ্যু আর কতদিন? এইসব বাদ দে এখন‘’।
গত বসন্তে প্রায় রোজই বত্রিশটা দাঁত বের করে হাসতাম, আবারো বসন্তের পুনর্জন্ম হলো কিন্তু আজ সেই হাসি নিরুদ্দেশ।আয়নাও দেখি না, আকাশও তেমন একটা দেখা হয় না।
আমৃত্যু তাকে চাওয়ার শক্তিটুকুও আজ আমার নেই।রক্তশূন্য, অর্ধমৃত, কঙ্কালের মতো শ্বাস নিয়েই চলেছি, নিয়েই চলেছি। আমি মানুষ নই আমি প্রেমিক। মৃতপ্রায় প্রেমিককে স্বপ্নে দেখার প্রয়োজন বোধ হয় প্রেমিকা মনে করে না।
এটা আশা করাও পাপ, এমনিতেই পাপের ঘড়া পূর্ণপ্রায়, তা আর বাড়াতে চাই না, খালি দুটো হাত ছাড়াও সৃষ্টিকর্তার কাছে কিছু নিয়ে যেতে চাই।
ইন্দ্রজালে আটকা পড়ে অস্বাভাবিক কল্পনায় মগ্ন থাকি রোজ। যেই পরিবারে অর্থাভাব সেই পরিবারের যেনো কারও জ্বর'ও না হয়।