নিশিদিন আমি ঢুঁরিয়া মরি
আসলে আমি কে!
হৃদয়মঞ্জিলে খুঁজিয়া মরি
আমার আমিকে!
আমি কে?
কে আমি!
মেলে না উত্তর কোনো!
মেলে না উত্তর কোনো!
কোনো এক ঝুম বৃষ্টির সময়
যেন আবাহনে মোরে
রবির কর দু' বাহু বাড়ায়ে;
আমারে স্মরিয়া কাঁদে!
আসলে আমি কে?
কে আমি!
আমার রব জানে!
আমি কে, আমি কে, আমি কে?
উত্তর মিলেছে অনেক অনেক আগে!
তবু হৃদয়ের বাগে তাঁর ফুল
আজিও পড়ে না গো!
আজিও পড়ে না রে!
হে, মোহরান্বিত নফস!
এবার দিবি কি সাড়া
না হয়ে দিশেহারা
বিশ্বরবের ডাকে!
ঝাঁকে ঝাঁকে
পিক কুহুতানে
ডাকে!
তবে কি আজ বসন্ত?
ফুল তো ফোটে নি!
আমি কে?
আসলে আমি কে!
জানো কি?
জোনাকির আলো!
প্রভাতের গান...
বিদেহী আত্মার অনুরণন!
আমি রব নহি
তবে রব আমি আর্তের!
কণ্ঠের দাগ নহি
পথিকের গতি ফের!
রব নহি আমি, আমি তো চিৎকার তবে!
কার মাথা গেল-গেল মোর এ বাণী দেখে।
ওঠো ওঠো সবে
প্রণয়ের অনুভূতি মেখে
গান গাও, গেয়ে ওঠো গান!
আমার বাগান
হোক মুখরিত চিরটা কাল
সকল সকাল।
আমি খুনী!!!
আমি মানি??
হ্যাঁ, আমার নফসের খুনী আমি!
আমিই শব সবাকার তরে।
আমিই সব, আমারি কাছে।
প্রত্যহ মরি ভয়ে নার জাহান্নামের লাগি!
আমি চির-বিবাগি
ছেড়েছি ঘর
হয়েছি পর।
বহুকাল আগে
আমার হৃদয়-বাগে
প্রাণসম বন্ধু প্রাণপণ অঙ্গীকার করে
আমি তার বাণী বুঝতে পারি নাই!
তাহারাও পারে নাই।
তবে আমি কি পাগল?
নহি আমি পাগল, উন্মাদ তবে।
মোর এ কালনিশি কবে
সত্যিকারের হবে
সকাল!
জানি না, জানে ঊষার রব
কে সে, পরিচয় কী তার
সে প্রভাতের প্রভু, মানুষের বিভু!
নিশ্চয়, মম বিধি মোর সাথে!
নিশ্চয়, তিনি জ্ঞানী আর প্রাজ্ঞ!
অয়ি প্রভাতের বিধি!
মোর কপোলে নিরবধি
দানহ বারিধারা
মুঞি সবহারা
কাঞ্চনসমা বোনেরা আমার
কষ্টে মরিছে সেথায়।
কান্নার নীরে কপোল আমার
ভিজিয়া চলিছে হেথায়!
হেথা-হোথা মোর ভায়েরা-বোনেরা
মরিছে মহাকষ্টে!
আমি কেমনে বাচলি করিয়া মরি
দিবানিশি মহাকষ্টে!
হায়, এটা কি জীবন জীবনের মতো!
আমি জানি নাকো!
জানিবার চেষ্টাও করি নাকো।
তবে আমি কি অন্তর্হিত
তাহাদের মতো?
না, তা তো নয়!
তবে সত্য কী?
কী?
আমি জানি কি?
সকলে আমারে ভালোই বাসে!
সত্য কি তেতো নয়!
তবে জানবার মহাচেষ্টায়
বিলায়ে আপন জীবন
কী লাভ!!!
লাভের তরেই মনুষ্যজাতি
বেঁচে আছে!
অধিকাংশ মানুষ ভীত মনে হয়...
তবে তাদের হয়ত জাহান্নামের ভয় নাই!
আমিসহ!
কে আমি?
ঊষার বিধির গোলাম!
অধিকাংশ মানুষ লোভী,
তবে তাদের জান্নাতের লোভ নাই!
কে আমি?
ঊষার বিধির গোলাম!
— সেখ আজমাইল
গলাতুন, ৩ রা নভেম্বর, ২০২৪