আমি মাঝি রে ভাই,
দুঃখের তরী বাহি!
আমি জীবনপথের রাহী!

পাথেয় যে মোর নাই কোনো ভাই
পবন পিয়ে ক্ষুধা মেটাই,
তৃষ্ণা-ক্ষুধা এক হয়ে যায়,
হোঁচট খেয়ে যাই পড়ে যাই
কষ্ট সয়ে উঠে দাঁড়াই
আমি জীবনপথের রাহী!
শুধু দুঃখের তরী বাহি!

বর্ষাকালে বাতায়নে চাহি
আঙুল মম হয় যে শীতল নাহি
বাইরে কভু এসে
সুখ-জোয়ারে ভেসে
সশরীরে অবগাহি!
আমি জীবনপথের রাহী!

আমি জীবনপথের রাহী,
সদা দুঃখসাগরে নাহি,
সুখসাগরে নাইব বলে
আধেক জীবন গেল চলে!
সুখেই ভাসি রোজ নিশীথে
সরু পোশাক পরে শীতে
নিজের সাথেই ছলে!
হ‌ইমু সুখী বন্ধু মুই অকালেই ম'লে!

আমি জীবনপথের রাহী,
বৃথা জীবনতরী বাহি!
সুখ মেলে না নিকোটিনে
প্রাণ কাঁদে মোর বন্ধু-বিনে
মরছি যে মু‌ই গভীর ‌ঋণে
মরণ দিয়েই হবে সে শোধ,
জগৎ-মাঝে শুধু যেন আমিই নির্বোধ!

রবির ও ভাই ওই ঝলকে
যায় পুড়ে মোর আঁখিপলক এ
চাঁদের আলো ঢেউ খেলে যায়
বক্ষে আমার সুর তোলে ভাই
কণ্ঠে তা আসে না!
পানিছাড়া মীনের মতো
ভেঙে যাওয়া বীণের মতো
র‌ই পড়ে র‌ই পথের ধারে
নিজনিকটে ডেকে আমারে
কেউ ভালোবাসে না!

আমি জীবনপথের রাহী,
সদা সিক্ত থাকে কপোল যে মোর
কেউ চোখে দ্যাখে না!
আমি দুঃখের তরী বাহি,
রাত্রি আমার হয় নি যে ভোর
কোনো কলম তা ল্যাখে না!
          ৮.২.২৩, কলিকাতা - ১০