তখন আমার আঠারো বছর বয়স,
আমি জানতাম না আবেগের প্রকৃত সংজ্ঞা,
বুঝতাম না প্রেম কী, ভালোবাসা কাকে বলে!
যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম
গগণের নীল গাঙে নাও ভাসানো প্রেমিকের
মতো মনে হয়েছিল নিজেকে।
তোমার মেঘকালো কেশগুলো এমনভাবে দুলছিল
যেমন করে বাতাসের দোলায় ঘাসগুলো দুলে ওঠে!
তারপর থেকে যতবার তোমার সাথে দেখা হয়েছে...
কারণ ছাড়াই কথা বলতে ইচ্ছে হয়েছে বহুবার...
অথচ ক্ষণিকের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যেতাম,
অথচ আমার বন্ধুরা জানে আমি কতটা বাচাল প্রকৃতির।
যখন‌ই তোমার সাথে দেখা হত হৃদয়ের বামপাশে
কেমন যেন প্রকম্পন জেগে উঠত!
আমি কারণ বুঝতে পারতাম না।
অতঃপর কারণ যখন জানলাম তখন তুমি পরোক্ষভাবে জেনেও গেলে,
আমি নীরবতামাখা নেতিবাচক উত্তর পেলাম,
তোমার বিস্ফারিত চোখগুলো সবকিছুর উত্তর দিয়ে দিত।

এখন আর ওসব মনে হয় না
বা মনে হলেও তা আমি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলি
আমার প্রভুর কাছে গভীর নিশীথে অশ্রুজল ফেলে...
জেনেছি, মৃত্যু‌ই মহাসত্য আর বাকি সব ধোঁকা!
কবিতার খাতাগুলো খুলে দেখলে এখন আমার সত্যি‌ই হাসি পায়...
কত‌ই না আবেগপ্রবণ ছিলাম আমি!
অতঃপর বাস্তবের নির্মম আঘাতে আহত হয়ে
যেন চিরতরে বিলীন হয়ে গেল আবেগগুলো!
এখন আমি আগের মতো হাসি না,
শুধুমাত্র নিজের কষ্ট যাতে অপরে বুঝতে না পারে
তার জন্য হেসেই চলি, একটু বেশিই কথা বলি...
কিন্তু সত্যি‌ই আমি হাসি না, কোনো কথা‌ও বলি না!
            কলিকাতা - ১৪৪, ২৯/১১/২২