শুনিলে শব্দ 'নারী'
কপোলে আসিতে চাহে নয়নবারি।
নারীর কষ্ট মুই সহিতে নারি
নারীর কষ্ট হেরিলে গণ্ডদেশে আসিতে চাহে অশ্রুবারি॥

শুনিয়াছি আমি ভাই বোঝা দায় নারীহৃদয়
— এ কথা মুই মানিতে নাহি চাই; হায়, হায়!
            বোঝো নি কি মাতৃহৃদয়?
নারী মানে তো মা      নারী মানে আম্মা
                 নারীরা মায়ের জাত।
— এ কথা মুই জানি     এ কথা মুই মানি
                মা'র গুণগান করি সারা দিন-রাত॥

         হেরিয়াছি মম নেত্রে,
নারীরে অপমানিত হতে হচ্ছে বর্তমানে;
প্রত্যক্ষ করি নাই কভু মম মানসনেত্রে,
নারীরে মরিতে হইবে অপমানে।
সিংহভাগ লোক দেয় নারীতে যন্ত্রণা,-
দিতেছি না বন্ধু তোমায় কুমন্ত্রণা,-
      আমার এ কথা মিথ্যা না।
আমার এ কবিতা নহে মিথ্যা, নহে অদ্ভুত;
বিশ্বাস' মোরে , সত্যি বলছি আমি ছবিসুত;
       মম এ বাক্য অসত্য না॥

নারীর গুণগান করে এ শ্রাবণী,-
নারীরে সম্মান দেয় এ অবনী,-
নারীরে সম্মান দিতে ভোলে নি এ কবি।
নারীর মন খুবই সরল,-
এ কথা মানে না যে, সে গাড়ল,-
নারীহৃদয় বোঝে এ ধরা, এ মাটি-গগণ-ইন্দু-রবি॥

পুরুষ আমি ভাই
তোমরা কহিবে পৌরুষতা নাই।
নারীরে বন্দিত করিছে এ আব্দুল আলিমনন্দন,
যার বুকের মাঝে জমিয়া আছে চাপা ক্রন্দন।
এই ইসমাতারাসুত করে শুধু নারী-বন্দনা,
মম সব বাক্য সত্য, ভালো, কিqন্তু মন্দ না॥

কী বলিব বর্তমান পুরুষদিগের কথা!
হতেছে জমা মম বক্ষ মাঝে হাজার ব্যথা।
ঘরে রেখে বধূ          অন্যের মধু
           লভিবারে ওরা ভ্রমে।
ঢুঁড়িয়া আনে হেতু     উড়ায় বধূর দুর্নাম-কেতু
            গৃহ হনে বিদায় দেয় কোনোক্রমে॥
বলে,"আমি নির্দোষ  করি নি কোনো কল্মষ
           মম বধূরে সহ্য করিতে পারছি নে॥"
চেষ্টা করে উদঘাটিতে বধূর দোষ      শেষে বলে, 'তুই অলস
          আর তাই তোরে ঘরে মুই রাখছি নে।'
পুরুষে রেগে শেষে    কহিবে, ' ব্যাটা সর্বনেশে '
            হয়ত লাগাতে চাইবে আগুন মম ধামে।
নারীরা ভালোবেসে   একটু মৃদু হেসে
            রটাবে হাজার কুৎসা মম নামে॥
নারীরা বলিবে, " ব্যাটা দু' মুখো সাপ    পাপী, পাপের বাপ
            আর ওকে সহিতে পারছি নে।"
অবশেষে আমি     বলিব, " ও মম অন্তর্যামী
             রক্ষীও মোরে, আমি হারছি নে॥"
পুত্র করিবে বিয়ে     গৃহে আসিবে ধনীর ধনি মেয়ে নিয়ে
            যৌতুক চাহে গাদা।
আমি হাসি হেরে       ভাগ্যের ফেরে
            এ ধরা লভিল এমন গাধা॥

আপন বধূ  হরিতে নারে স্বামীর চিত্ত
স্বামী ওরে বাসে না ভালো, কষ্ট দিয়া করে নৃত্য
লভিতে নেরেছে বধূ আপন স্বামীর হিয়া।
স্বামী ওরে করে প্রহার,-
করিতে দেয় না শান্তিতে আহার,-
মুহুর্মুহুঃ কথা শোনায়, বলে,'কেন করিনু তোরে বিয়া॥'

বিয়েতে অনেক যৌতুক পেলে ভালো।
নইলে নববধূর নিভে গেল জীবনের সব আলো!
কী যে লিখিতেছি নাহি জানি।
না জানি বন্ধু কেন তব মনে আঘাত হানি বন্ধু লিখিতেছি একদম সত্য
হই নিকো মুই কাহার নেশায় মত্ত॥
                    
         — @ সেখ আজমাইল
        বর্ধমান আল-আমীন মিশন, পূর্ব বর্ধমান
                     ০৩/০৮/২০১৭