কোন্ সে মানবী ধরণীর বুকে এমন রূপসী আছে
ফিকে হয়ে যায় হেম গো বন্ধু তাহার রূপের কাছে?
নেই এমন কোনো সে মানবী
যাই-বা আছে দেখ সে দানবী!
আপন হৃদয় সিক্ত করি ঢালে কি সুধা তাহে?
চলে কি গো সে সংগোপনে বিশ্বপ্রভুর রাহে?
ব্যাপ্ত করি হৃদয়-আকাশ শোনায় কি সে পাখির কূজন?
হয়ে কি গো সে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে সর্বজনের সুজন?
এমন রমণী ধরণীর বুকে সংখ্যায় প্রায় শূন্য!
বোঝে না তারা পাপ কিসে হয় আর কিসে হয় পুণ্য!
জীবন তাদের নরকের পথে ধাবিত হয় নিতি,
তবু তারা ওগো মানতে নারাজ বাঁধা জীবনের রীতি!
গগণের পানে চেয়ে আমি দেখি প্রেমানুরাগে মাখা,
তারি প্রেমে আমি দিয়েছি মেলে পরাণপাখির পাখা!
তারি প্রেমানলে মম হিয়া জ্বলে লঙ্ঘিত করে নিতি
বাঁধা জীবনের রীতি!
প্রশান্ত হয়ে ধরা দেয় সে গো চাতক পাখির মতো
বহুদিন পরে বারি লভে যার মুছেছে কণ্ঠ-ক্ষত!
প্রশান্ত হয়ে উল্লসিয়া
কলরব করে ওঠে গো হিয়া
চন্দ্রের পানে মেলি আমি আঁখি যবে!
আমার মতো নেই তো কেউ
হৃদয়সাগরে সুখের ঢেউ
ওঠে যার কলরবে!
প্রেমানুরাগী বানিয়ে মোরে,
প্রকৃতি নাচে খুব কাক-ভোরে
যাই পড়ে যাই বন্ধু ওরে
সুবহে সাদিকের মায়ায়!
হৃদয়বনে অলি ধেয়ে আসে
বেষ্টিত হয়ে সুখ-নাগপাশে
হর্ষিতা হয়ে সুখস্রোতে ভাসে
প্রেমাভরণ পরিয়ে আমার কায়ায়!
হৃদয়ের গাঙে তরী ভেসে আসে
মহা-আনন্দে মহা-উল্লাসে
প্রেমের বার্তা নিয়ে সে ভাসে
জড়িয়ে আমারে মায়ায়!
.... সেখ আজমাইল
০১.০২.২৩, ৭:০৩, শিয়ালদহ