আদম হ‌ইতে করিয়া শুরু এই আজমাইলতাক যত
এসেছে ধরায় নারী,
মন বলে তুই সবচেয়ে সুন্দরী, তুই পবিত্রা ফুলের মতো,
তুই সকল যুগের সকল নারীর রূপের দর্পহারী।

তুই স্নিগ্ধা
এ-যুগের সকল নারী তোরে দেখে সন্দিগ্ধা!
তুই বোশেখ মাসের রৌদ্রে তপ্ত দুপুর
ঘুমন্ত আমি-র বুকে বাজিয়া ওঠে তোর দু-পায়ের নূপুর!
তুই এলোকেশী,
স্বপ্নে আমি তোরেই দেখি বেশি বেশি!

অয়ি আয়তলোচনা-গজদন্তিনী কামিনী
কাটাইতে বড়ো সাধ জাগে তোর সাথে সব যামিনী!
হবি কি রে মোর ভামিনী!
হে সুকেশিনী-সুভাসিনী
তোর‌ই সনে ক‌ইতে চায় মনের অথা, তুই যে সুভাষিনী!

আজমাইলের বুকের মাঝে
শরণ নিবি তুই?
বক্ষে তারি খুন বিরাজে
কপোল ভেজায় নুই!
অয়ি যৌবনভীতু পল্লিবালাসমা
মোর যত অপরাধ, হে সখী, করিয়া দিস ক্ষমা!

লাজময়ী অয়ি, সুহাসিনী ওরে, শোন শোন মোর
বুকের জমানো কথা।
এই নিশি যেন হয় হয় ভোর,
জুড়াস মনের ব্যথা।
ভবলীলা মোর সাঙ্গ হ‌ওয়ার আগেই
অক্কা যদি পাস তুই,
জানবে সবাই তুই-ই সে-জন
চুরায়েছে এ আজমাইলের মনের ভুঁই!