জীবনে আমি পেয়েছি অনেক সহপাঠী—
তবু ইহাদের মতো নহে সবে পরিপাটি।
ইন্দ্রাণী হল ইন্দুসমা— স্নিগ্ধ কিরণ তার
চোখ রাঙালেই মন তার বোঝা ভার!
রাশভারী সে; তবু বদনে সারল্যের ছাপ,-
'ভাই' সম্বোধনে অনুরোধিলেই সাত খুন মোর মাফ!
মলয় হল মলয় অনিলসম,-
ছোটো-বড়ো সবাই তারে করে সম্ভ্রম।
শ্রেয়া হল সুহাসিনী আর অভিমানিনীসমা,-
'ভাই' সম্বোধনে অনুরোধিলেই যত দোষ মোর ক্ষমা!
সাগর হল অর্ণবসম, উত্তাল তার ঢেউ—
লেগ-পুল করে কী যে কয়— গূঢ়ার্থ তার বোঝে না কেউ!
শুভাশিস হল বন্ধুবৎসল, তবে—
কিছু একটা কাজ বললেই ল্যাপি তার খারাপ হবে!
সায়ন হল ব্যয়কুণ্ঠ— যেন তাদের কুলের মামা!
পল্লবী হল অন্তর্মুখী— রহস্যময়ী ত্রিযামা!
উপল হল উপলসম, আমি বললে কার্পণ্য নাহি করে,-
বৃত সে, সারা কলেজ প্রতীক্ষিত তার তরে!
দেবাশিস যখন আরক্ত-নয়নে ডাকে
দক্ষিণ তর্জনী আর মধ্যমাতে তামাকমামা থাকে!
বন্ধুবৎসল, অনুরাগী মোর অনেক
ফোন করে ডাকবেই মোরে যদি কলেজ আসে ক্ষণেক!
তনুময় হল ক্ষীণতনু আর লম্বুগাছের মতো
গফ এনে দেয় মিটিয়ে বুকের যাতনা যত!
সৈকতের ওই হৃদয়-সৈকতে
দুখের বালি আছড়ে এলেও কয় না কোনোমতে!
গড়াই শুধু ফোনের 'পারে লড়াই করে মোর সাথে।
জানি না আমি কোন্ ছাই তার দিয়েছি বাড়া ভাতে!
(আর আমি শালা বহির্মুখী, বাচাল এক গাধা!
নিয়ত কলেজ গিয়েও আমি সাপ্লি পাই গাদা!)
— আজমাইল
— ১৯/১১/২০২৩, সকাল পৌনে ন-টা
— কলকাতা-৭০০০১০