অয়ি গগণ-ক্যানভাস-মাঝে দীপ্ত নীহারিকা;
মম হৃৎকাননে ফোটা সুরভিত যূথিকা,
এসো এসো ত্বরা
দিয়ে যাও ধরা
এ হিয়ার মাঝারে।
হে হৃদয়হীন, তব হৃদয়মীন আরবার দেহ আমারে॥
তব সুবাসিত রুমালে আর নাহি মুছি গো পাসিনা
ছলছল নয়ানে সহসা আর মুঞি হাসি না
তোমার পানে চাহি;
আঁখিধারে অবগাহি
উজ্জ্বল এ কপোল।
তোমা হেরিলে স্মৃতি ঘেরিলে হয় চিত উতরোল॥
তব হৃদয়বিহঙ্গের কূজনে মুখরিত মম হৃৎকানন এ
তোমা হেরি বুক কাঁপে, লাজরেখা ফোটে এ আননে।
ফের তোমারেই ভালোবাসি'
যদি আরবার দুখ নাশি
জানি না মানবে নাকি!
তুমি বড়ো অভিমানী— হয়ত নিজেরেই দিয়ে যাবে ফাঁকি॥
আমার এই সুরমা-ধোওয়া চোখের পানি জানে
বের হয় সে কোন্ সে অভিমানে।
আঁখির 'পরে হেরিলে ঐ কাজল
সাধ জাগে মনে ফের সাজিতে আজল
জড়িয়ে যে মোরে ধরতে তখন তুমি।
তোমার তরেই বনিতে চাহি এ-যুগের কবি রুমি॥
অলীক স্বপ্ন প্রত্যহ দেখে মহোল্লাসে ভাসি
পরক্ষণেই কপোল ভাসায় লবণাম্বুরাশি!
যদি ফের তব হৃৎসাগরে প্রেমের তরী ভাসাই
অথবা রচি অমর কাব্য আবেগ-মাখা ভাষায়
তোমায় নিয়ে— হয়ত নেবে না মেনে।
বৃথা রোজই ভাবি ধৃতব্রত হব ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী জেনে॥
— ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ —
— কলকাতা - ৭০০১০ —
— ভোর ৪:৩৪, বৃহস্পতিবার—