আমি ধানের নাড়ার মতো অবহেলিত,
সরিষার ফুল আমারই বুক চিরে ওঠে
তবু তার গুণগান মানুষের মুখে মুখে।
সবার মনের মানুষী আছে
সাক্ষাতে সবাই প্রাণ জুড়ায়!
আমি একাকী সাতপাঁচ ভাবি,
শুধু মরিবার বাসনা জাগে চিতে— ঘনঘন।
আমি মুথাঘাসের মতো অবহেলিত
কারো কবিতায় ঠাঁই পাবার সৌভাগ্য আমার নাই,
তাই নিজেই নিজে কবি বনেছি!
আমি শেষ হয়ে যাব একদিন
অন্তিমশয্যায় শুয়ে থাকব:
কাঙ্ক্ষা করি প্রিয়া পাশে থাকবে।
কিন্তু প্রিয়া তো আমার নেই।
এত সুন্দর দেখতে আমি!!
কয়লার মতো ফর্সা,
কাকের মতো কোমল স্বর আমার।
হায়, আফসোস! একদিন এক রমণীরে চেয়েছিনু খুব করে,
কেউ আমাকে তখন বলে নি পাগলাগারদ যা!
আমি অবহেলিত, লাঞ্ছিত এই ভবে
চিরকাল লোকে কত কথা বলে!
ভাল্লাগেনা কোনো কিছু আগের মতন
ঊষার প্রভুরে রোজ ডেকে যাই
আমি এত পাপী, এত পাপী
মরা ছাড়া আমার আর কোনো গত্যন্তর নেই!
আমার কবরের চারিপাশে
কালো ঘাসগুলো চুমু খাবে।
আমার এ দেহ ধ্বংস হয়ে যাবে,
আমার অহংকার ভূলুণ্ঠিত হবে চিরতরে।
আমি মানুষ হিসেবে আদর্শ নই,
তবে বন্ধু হিসেবে ষোলোআনা খাঁটি।
সেই বন্ধুরাই আজ আমায় কষ্ট দেয়।
প্রিয়ার দেওয়া কষ্টের চেয়েও অধিক সেটা।
ভালো লাগে না, কিছু ভালো লাগে না আমার
শুধু মরিবার বাসনাটুকু জাগে চিতে।
গুলির সামনে বুক পেতে দিতে রাজি আমি
পৃথিবীটা মানুষের হোক!
মানুষে-মানুষে চরম কোমল প্রতিহিংসা আর
ভালো লাগে না!
পৃথিবীটা মানুষের হোক!
হোক পৃথিবীটা মানুষের!