বন্ধুদের সব বিয়ে হয়ে গেল, রইনু পড়ে একা
আজিও আমি পেলাম নাকো মনের মানুষীর দেখা।
মনে হয় সে জন্ম লভে নি আজও
যদিও আমি করি না কোনো কাজও।
পথ ঘুরে ঘুরে শ্রান্ত আমি
সব জানে মোর অন্তর্যামী।
আমি বেকার
নাহি আছে কিছু আমার থেকে শেখার।
তবু আমি ভেবে ভেবে মরি
হৃদয়ে প্রেমের কানন গড়ি
এক আয়তলোচনার আশায় বাঁচি আমি
যদিও আমি নিষ্কর্মা, সাক্ষী দিবস-যামী।
এক গজদন্তিনীর আশে
বহুদিন আমি করিলাম পার।
তবুও আমি পেলাম না তারে পাশে
জানে সব অন্তর্যামী, করুণা যাঁর অপার।
সে হবে নাকো মোর বাসনাসঙ্গিনী বধূ
সে যে হবে মোর মানসরঙ্গিনী বঁধু।
বারবার আমি দিবাস্বপ্ন দেখি
এ জীবন বড় মেকি।
চলিতে ফিরিতে পড়ে চলি আমি
ফুরক্বনের সেই আয়াত।
দিন যায়, নিশা আসে
বেড়ে যায় যেন মোর হায়াত।
খোদার প্রেমে মজনু হয়ে লাশ হয়ে যেতে চেয়ে
রয়ে গেনু আমি আজও পৃথিবীতে জীবন্মৃত হয়ে।
এত এত নারী ঘুরে ফিরে চলে
ধরে না কাহারেও মনে।
ভুল করিয়া দৃষ্টি যাইলে
তখনি ঘুরাই নয়ন এ।
নারীদের প্রতি অনুভব করি না কোনো টান
কেহ যেন মোরে মারিয়াছে মোর হিয়ার মাঝে বাণ।
এক আয়তলোচনার আশায় আমি বাঁচি
দিবস-যামী তিক্ত কবিতা রচি।