মালাকুল মউতের আবাহন কামি রোজ,
পাই নি আজিও সুখের খোঁজ!
মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকি
রয়েছে তাহারা সুখের চাদরে ঢাকি!
লাঞ্ছনা ছাড়া কিছুই পাই নি আমি,
সবই জানে আমার অন্তর্যামী!
অন্তরে মোর বোধ কাজ করে
সব পথে মোর বাধা!
নিয়ত হিয়া কুঁড়ে কুঁড়ে মরে
মোর চোখে শুধু ধাঁধা।
জানি নে, কোন্ পাপের তরে
আমার বেহাল দশা!
এ হৃদয় কেন দুখ শুধু ভরে,
এ জীবন নষ্ট শসা!
আমি প্রেমিক নই, বিরহী নই, কষ্ট কীসের তবে
জানি নে, এ কালনিশি মোর ঊষা কবে হবে!
পথে পথে ঘুরে হেরে যাই হেরে গণমানুষের সুখ
হৃদয় আমার পূর্ণ করে পৃথিবীর যত দুখ।
যুবক-যুবতী চলিছে বাটে, আহা, কত সুখী তারা
আমি শুধু চাই ক্ষণে ক্ষণে হতে আকাশের ঐ তারা!
ভালো লাগে না কোনো কিছু মোর
কালনিশি মম হইল না ভোর
মরে যেতে চাই আমি!
কেন শুধুই কামি মরণ
কবরদেশে চাই যে শরণ
জানে অন্তর্যামী!
ক্ষুধার জ্বালায় মরি আমি, খাইতে লাগে না ভালো,
জানি নাকো কে লইয়া গিয়াছে হৃদয়ের যত আলো!
দু-হাত তুলিয়া চাহিয়াছি কত বিশ্বপ্রভুর কাছে,
হয় নি কবুল আমার দুয়া, হয়ত ঝুলন্ত হয়ে আছে!
পথ ভুলিয়া বেপথে চলি
নিজের সনেই প্রত্যহ ছলি
মিথ্যে হাসি হাসি।
বলিল না কেউ, হে দুঃখী কবি, তোমারে ভালোবাসি!
গণমাধ্যমে খুঁজিয়াছি কত আত্মহননের সহজ উপায়,
সবাই শুধু দিয়েছে ভাষণ সুখ শুধু নাকি বাঁচায়!
আঁখির পানে চাহিলে হেরিবে কত দুখ তাহে ঢাকা,
ঘুরবে না জানি কোনোদিন মম ভাগ্যগাড়ির চাকা!
আমি অকিঞ্চন চাষার ছেলে, বাঁচি তবু আশায়
হয়ত হৃদয় সুখে সিক্ত হবে কাহারও ভালোবাসায়!
স্বাদ পেতে চাই মৃত্যুর আমি, আর লাগে না ভালো!
নিভে যাক মোর চিরতরে এই জীবনের সব আলো!
কত লোক দেখি বাঁচিবারে চায়, মরণ আসে তাদের!
কেন প্রভু তুমি বাঁচিয়ে রেখেছ ভাল্লাগে না যাদের!
কোন্ সে রোগে রোগাক্রান্ত, বুঝি না আমি কিছু
সবার কাছেই হয়ে যায় মোর অপমানে মাথা নীচু!
(সংক্ষেপিত)