অপরূপা তুমি, অনন্যা তুমি, রূপে-গুণে তুমি শ্রেয়া
উন্মাদ করে হৃদয়ের গাঙে ভাসালে প্রেমের খেয়া!
যেমন করে গগণের গাঙে মেঘের লহরী ওঠে,
তেমনি নিতি তব মুখখানি আমার হিয়ায় ফোটে!
যতবার দেখি মেটে না তো সাধ, দেখে দেখে হই সারা
যদি-বা আড়াল হলে গো তুমি লাগি আমি দিশেহারা!
বরষার নীরে স্নাত হতে দোঁহে বড় সাধ মনে জাগে
তুমি যে সখী রয়েছ আমার হৃদয়-রক্তরাগে!
গগণের পানে চেয়ে চেয়ে দেখি ধরাধরি মেঘ খেলে,
ভুলে যেতে চাই তোমারে আমি আনমনে অবহেলে!
প্রকৃতির বুকে ধরা দিয়ে তুমি কানে কানে যেন বলো,
কলম তুলে কাব্যসাগরে মহাকল্লোল তোলো!
ঊর্মির মতো বুকে বেজে ওঠো দাও না তবুও দেখা,
স্মৃতির পটে ওঠে যে ফুটে তোমার স্মৃতির রেখা!
জানি আমি মোর ভাগ্যাকাশে উঠবে না সুখ-রবি,
আঁকিতে তাই গো চাই না হৃদয়ে তোমারি মুখচ্ছবি!
আমি প্রকৃতির মাঝে সুখ খুঁজে চলি,
কবিতার সাথে যত কথা বলি!
ওর সনে অনেক আগেই গেছে হয়ে অমর প্রেম,
তাই তোমারে পেয়ে চাহি না লভিতে অমূল্য হেম!
কলিকাতা - ১৪৪, ২৯/১১/২০২২