একটি ছেলে নাদুস নুদুস ডানপিটে তার মন
প্রজাপতির পিছন পিছন ঘুরতো সারাক্ষণ।
মায়ের অতি লক্ষ্মী ছেলে বোন আদুরে ভাই
বাবার ছিলো চোখের মণি হৃদয়ে যার ঠাঁই।
রুটিন মাফিক পড়ার ফাঁকে একটু সময় পেলে
প্রজাপতির ডানার উপর স্বপ্নকে দেয় মেলে।
রঙধনু তার রঙিন আলোয় ভরিয়ে দিতো চোখ
খুশির আভায় ঢেউ খেলতো আনন্দ আলোক।
বাবার দেখা মাঝে মাঝে থাকতো মায়ের সাথে
মার আঁচলে মুখ না ঢেকে ঘুম হতো না রাতে।
সেদিনও ঠিক মুখ ছিলো তার মার আঁচলে ঢাকা।
স্বপ্নে এলো বিদঘুটে সব দৈত্য দানব রক্তমাখা
হঠাৎ করে স্বপ্ন ছেড়ে উঠলো রাসেল জেগে
বিষ্টি হয়ে কান্না ঝরে ঝড়ো প্রবল বেগে।
মেশিনগানের গুলির আওয়াজ যেন বজ্রপাত
বাবা মায়ের লাশ দেখে সে ভয়েই কুপোকাত।
কেঁদে কেঁদে বললো রাসেল মায়ের কাছে যাবো
কী ভয়ানক! দৃশ্য ছিলো একটু করে ভাবো।
এক হায়েনা বললো ওঠে কে ওখানে আছে?
বিচ্ছুটাকে পাঠিয়ে দাও ওর ই মায়ের কাছে।
একটি গুলি বিধলো এসে শেখ রাসেলের বুক
পড়লো লুটে নিথর দেহ রক্ত মাখা মুখ।
কেউ ছিলো না রক্ষাকারী, কেউ ছিলো না মিত্র
শেখ রাসেলের রক্তে আঁকা বাংলার মানচিত্র।