তোমার কি মা মনে পড়ে সেই যে প্রিয় রান্না ঘরে
পিড়ি কিম্বা মোড়া নিয়ে একটু খানি গা ঘেঁষিয়ে-
তোমার শাড়ির আঁচল নিয়ে লাজুক মুখে মিনমিনেয়ে
ছোট্ট বেলায় এই খোকাটার থাকতো কতো বায়না?
তুমিও কি কম? হরেক রকম পিঠা পুলি খয়ের ছাতু
কড়ইর নাড়ু মুড়কি মোয়া, ভাপা পুলি খেজুর মিঠে,
চালের গুড়ায় মিষ্টি পোয়া,কাঁঠাল পাতায় তালের পিঠে
বিননি ভাত আর পাটালি গুঁড়, কতো রকম তাই না?
আমিও বেশ মজা পেতাম, করতে যা যা সবই খেতাম
তোমার মুখে দেখতে পেতাম তৃপ্তি ভরা খুশির হাসি,
শীত সকালে করতে আদর জড়িয়ে গায়ে তোমার চাদর
জানো কি মা? তোমায় আমি কতো ভালোবাসি?
কতো না শাসন করতে কারণ, আমি শুনিনি বারণ
সারা দিন ভর ঠই ঠই করে ফিরেছি যখন ঘরে-
তুমি না মা রাগলে পরে মনটা আমার কেমন করে
কি জানি কী হয়, করতো বুকে শাস্তি পাবার ভয়।
দিতে কান মলা, যদি পথ চলা হয় কখনো এলেবেলে
খেতে হবে বেত গুনে গুনে সাত থাকবে না পিঠের ছাল।
সাবধান করে বলেছিলে তুমি মনে থাকে যেন কাল।
সেই দিনগুলো কেটেছে আমার অবহেলা আর হেলে-ফেলে।
আমি আজ দূরে বহু দূরে তবু মন ওড়ে আকাশের পানে
থাকি কাজে তবু মাঝে মাঝে ছোটে মন তোমার স্নেহের টানে।
কাঁদে মন অকারণ করে প্রাণ আনচান দেখি না তোমার মুখ
তুমি বিনে সুখ নেই জানি তবু আমি প্রবাসেই খুঁজি ফিরি সুখ ।