আমি বড়ই ভোজন রসিক,
পেটটা পুরে খাই;
দাওয়াত পেলেই সেথায় ছুটি,
কোন কথা নাই।
দাওয়াত ছাড়াও মাঝে-মধ্যে
পেটটা বেচে আসি
কোন কিছুই অরুচি নাই,
ভোজন ভালবাসি।
কেউ যদি কয়, খাবে নাকি?
সেথায় পড়ি বসে।
আশে-পাশের ভদ্র লোকে
মিচ্মিচিয়ে হাসে।
ভাবি আমি মনে মনে
কুচ্-পরওয়া নাই
খাব আমি কব্জি মেরে,
যে যা ভাবিস ভাই।
ময়নার মা ঝগড়া করে,
লজ্জা-শরম নাই?
ভুড়িটাতো আকাশ ছুবে,
মরার চিন্তা নাই।
রাগ করিসনা ময়নার মা
মুচকি হেসে কই
মরার আগে তোর লাগি
রেখে যাব দই।
ময়নার মা কটকটিয়ে
দাঁত কামড়ে কয়,
মরিসনে ক্যান হতচ্ছাড়া
আমার শান্তি নাই।
তোর পতি বেজাই পেটুক
কিচ্ছু ছাড়েনা
মরলেও তবু বেঁচে যেতাম,
শুনতে হতনা।
ভাবি আমি মনে মনে
কষ্ট নিয়ে বুকে
খাওয়া-দাওয়া ছাড়া লোকে
কেমন করে বাঁচে?
আর খাবনা, আর খাবনা;
এই করছি পণ
খাওয়া-দাওয়ার কথা শুনলে
আর মানেনা মন।
যে যা বলে বলুক লোকে
আমার কি যায়-আসে?
মাছ-মাংস ছাড়া কি আর
যায়রে থাকা বেঁচে?
নিন্দুকেরা নিন্দা করে,
মানীর তাতে কি?
জাত গেলেও মান যাবেনা,
পান্তা ভাতে ঘি।
কেউ যদি কয়, খেতে যাব
তোর বাড়িতে আজ;
অমনি যেন মাথার উপর
ভেঙ্গে পড়ে বাজ।
আজ তারে কই, কাল খাওয়াব;
আজকে উপবাসী
আমি বড়ই ভোজন রসিক,
ভোজন ভালবাসি।
১৭/০৯/২০১৬ ইং বিকাল ৫:৫০