بسم الله الرحمن الرحیم
প্রাস্বরিক মিশ্ররীতির কবিতা, সংস্কৃত থেকে বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করেছে বহু বছর পূর্বে ৷ এতে মুক্তাক্ষর, বদ্ধাক্ষর নির্দিষ্ট ছকবিন্যাসে সাজানো হয়৷ যুক্তবর্ণ সহ বা যুক্তবর্ণ ছাড়া লেখা যায় ৷ যুক্তবর্ণকেও নির্দিষ্ট ছকবিন্যাসে নেয়া যায় ৷
শুধু বদ্ধাক্ষর অথবা শুধু মুক্তাক্ষরে লেখলেও প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক হবে ৷
কিছু উদাহরণ দিলে বিষয়টা বুঝতে সুবিধা হবে। উদাহরণ:—
অগ্নি যেমন কাষ্ঠ পুড়ায় হিংসা পুড়ায় পুণ্যকে,
মিথ্যা কথায় ধ্বংস নিজের প্রাপ্তি শুধুই শূন্যকে ৷
সত্য পথের ভক্ত যেজন আস্তা রাখেন স্রষ্টাতে,
ইচ্ছা তাদের কিচ্ছা লেখেন মন্দ নাশের নিষ্ঠাতে ৷
স্বরবৃত্ত- ৪+৪+৪+৩
মাত্রাবৃত্ত- ৬+৬+৬+৪
অক্ষরবৃত্ত- ১০+৮
প্রস্বর ও যুক্তবর্ণের ছকবিন্যাস একই নিয়মে প্রত্যেক চরণে সাজানো আছে যা আলাদা বৃত্ত নয় বরং বৈশিষ্ট্য ৷
প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক হলো মিশ্ররীতি যেটাতে স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত তিনবৃত্তে-ই মাত্রা মেলানো যাবে ৷
মুক্তস্বর, বদ্ধস্বর, যুক্তবর্ণ পর্যায়ক্রমে একই ছকে সাজানো থাকবে ৷
বাংলা কবিতায় তিনবৃত্ত অথবা তিনবৃত্তে সংমিশ্রণ ছাড়া যা যা আসবে তা সবই বৃত্ত বা রীতির বৈশিষ্ট্য হবে৷ যেমন— প্রস্বরতা বা যুক্তবর্ণের নির্দিষ্ট ছকবিন্যাস ৷
কবিতা আবৃত্তির বিষয়, শ্রবণের সাথে সম্পৃক্ত মিশ্রবৃত্ত রীতিতে লেখলেও আবৃত্তি একসাথে সব বৃত্তে যেমন সম্ভব নয় ঠিক মাত্রা লেখাতে মিলালেও আবৃত্তিতে সম্ভব নয় ৷
প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক আমি প্রথম লেখছি না, তবে পূর্বের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য আমার লেখাতে আছে ৷ শেষ কথা যা বাংলাতে আগেই ছিলো তাকে ঘষে মেজে যাই করবো তা মূলেই থাকবে ৷
আলাদা বৃত্ত যদি বৈশিষ্ট্যকে বলি তবে অবশ্যই পর্ব ও মাত্রা দেখাতে হবে এবং স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্তকে সরালে যাকে বৃত্ত বলবো তার অস্তিত্বকে রক্ষা করে দেখাতে হবে ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
দ্বন্দ্ব বন্ধ হবে মুক্তবিশ্বে কবে?
স্রষ্টা জানেন ৷
বন্ধু শত্রু হয়ে তিক্ত অস্ত্র ক্ষয়ে—
ভাঙ্গে মনন ৷
সিক্ত চক্ষু আজি, রিক্ত হস্তে সাজি,
চিত্ত করুণ ৷
দুস্থ তন্দ্রা কাড়ে, কষ্ট পুস্ত দ্বারে,
নিঃস্ব জীবন ৷
মঞ্চ মঞ্জু দেখে, রত্তি শান্তি চেখে,
ভ্রষ্ট বালক ৷
তিষ্যা পথ্য ভালো, বৃক্ষ মস্ত কালো,
লভ্য সহজ ৷
মিথ্যা গণ্ডু ঘুরে, ভণ্ড গুঞ্জে সুরে,
ধাপ্পা বিরাট ৷
স্বরবৃত্ত- পূর্ণপর্ব বা মূলপর্ব ৪ মাত্রা, অপূর্ণ পর্ব ২ মাত্রা ৷
মাত্রাবৃত্ত- পূর্ণপর্ব বা মূলপর্ব ৬ মাত্রা, অপূর্ণ পর্ব ২ মাত্রা ৷
অক্ষরবৃত্ত- পূর্ণপর্ব বা মূলপর্ব ৬ মাত্রা, অপূর্ণ পর্ব ৫ মাত্রা ৷
প্রস্বর ও যুক্তবর্ণের ছকবিন্যাস, বদ্ধস্বর ও মুক্তস্বর নির্দিষ্ট ভাবে সাজানো ৷ আর এটাই প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিকের বৈশিষ্ট্য, আলাদা বৃত্ত বা রীতি নয়৷ না এটা নতুন আবিষ্কার করেছে কেউ ৷ সংস্কৃত থেকে বহু বছর পূর্বে বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করেছে ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
সত্য রেখে মিথ্যা ধরে বড্ড খুশি চোর,
বুদ্ধি খুয়ে শুদ্ধি খুঁজে সন্ধ্যা বলে ভোর!
চিত্ত সুখে নৃত্য করে বিশ্ব জয়ে সাধ,
অল্প শিখে গল্প জুড়ে হস্তে নেবে চাঁদ!
রুদ্ধ ঘরে বন্দী হয়ে মুক্ত বলে খুব,
যুক্ত হলো গুপ্ত ভাবে স্বার্থে দিলো ডুব ৷
সিক্ত হলো চক্ষু দু'টো দৃশ্য দেখে তার,
বক্ষমাঝে তপ্তব্যথা সপ্ত পারাবার ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
তপ্ত মনে সুপ্ত ব্যথা সিক্ত চোখে গাই!
রপ্ত করি তিক্ত ভবে নিত্য দুখে ঠাঁই!
চিত্ত আজি ক্ষিপ্ত হয়ে লিপ্ত ভুলে ভাই!
দীপ্ত হলো দীক্ষা পেয়ে গুপ্ত থাকা চাই!
স্বরবৃত্ত- ৪+৪+৪+১
মাত্রাবৃত্ত- ৫+৫+৫+২
অক্ষরবৃত্ত- ৮+৬
প্রস্বর ও যুক্তবর্ণের ছকবিন্যাস, বদ্ধস্বর ও মুক্তস্বর নির্দিষ্টভাবে সাজানো ৷ আর এটাই প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিকের বৈশিষ্ট্য আলাদা বৃত্ত বা ছন্দ নয়৷ না এটা নতুন আবিষ্কার করেছে কেউ ৷ সংস্কৃত থেকে বহু বছর পূর্বে বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করেছে ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
গাভী মাতা নাভি নেড়ে বলে বাছাধন—
ডাকো মতা থাকো সুখে গোলে মানু' জন ৷
সবগুলো মুক্তস্বর মাত্র দুইটি বদ্ধস্বর, যুক্তবর্ণ নেই ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
বঙ্গদেশে রঙ্গ করে ভ্রান্ত দলে গুপ্ত ভাবে,
বন্ধু মম যুক্ত হলো চিত্ত সুখে রক্ত খাবে ৷
গাচ্ছে তারা তিক্ত সুরে গন্ধ শুঁকে ভণ্ড হয়ে,
নষ্ট হৃদে স্পষ্ট চলে গোষ্ঠি বেঁধে ধান্দা লয়ে ৷
চেষ্টা শুধু বিশ্ব জয়ে শক্তি ক্ষয়ে শব্দ তুলে,
শান্তি খুঁজে নিঃস্ব মেরে দুষ্ট ওরা স্রষ্টা ভুলে ৷
বঙ গ দে শে / রঙ গ
বদ্ধস্বর মুক্তস্বর মুক্তস্বর মুক্তস্বর/ বদ্ধস্বর মুক্তস্বর
কো রে /
মুক্তস্বর মুক্তস্বর/
বদ্ধস্বর, মুক্তস্বর, যুক্তবর্ণ নির্দিষ্ট ছকবিন্যাসে সাজানো ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
মন্দ মানুষ গন্ধ ছড়ায় দ্বন্দ্ব বাঁধায় সবখানে,
মিথ্যা কথার গল্প শুনায় বিদ্যাবিহীন ছল জানে ৷
নষ্ট হৃদয়, ভগ্ন কলম কাব্য রচার সাধ কতো!
ভ্রষ্ট পথের নিষ্ট পথিক বিশ্ব জয়ের পণ শতো ৷
বুদ্ধি দারুণ, শুদ্ধি করুণ, মৃত্যু পাবার ভয়হারা,
চিন্তা তাদের সত্য বিধান ধ্বংস করার পায়তারা ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
একক প্রভু, শরিক ছাড়া সৃজন সবই তাঁর,
পাপের সাজা দেবেন তিনি দয়ায় পাবে পার ৷
সহজ কথা বোঝার যেনো মানুষ ভবে নাই!
সময় হলে সাবার কাছে প্রকাশ হবে ভাই ৷
মরণ এসে জানান দেবে কেমন মজা তার!
মাবুদ ভুলে মনের সুখে জীবন কাটে যার ৷
জগতমাঝে ভোগের মোহে মানব আছে বেশ,
খ্যাতির লোভে পাগলপারা ঈমান করে শেষ!
বদ্ধাক্ষর, মুক্তাক্ষর নির্দিষ্ট রীতিতে সাজানো, যুক্তবর্ণ নেই ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
চায় সুখ পায় দুখ নেই কেউ সঙ্গে,
গায় গান খায় পান যায় দূর রঙ্গে ৷
মন ভার নয় তার জ্ঞান খুব অল্প,
হোক ক্ষয় নেই ভয় বেশ দেয় গল্প ৷
কূল, মান খানখান ঠাঁই তার বঙ্গে,
সৎপথ ঠিকমত রোজ রোজ লঙ্ঘে ৷
সবগুলো বদ্ধাক্ষর শুধু চরণের শেষে একটি করে মুক্তাক্ষর ৷
(প্রাস্বরিক বা ত্রিমাত্রিক)
কাকা বলে কলা খাবে চলো বাজারে,
শুনে আমি মহাখুশি সুখে আহা রে!
সবগুলো মুক্তাক্ষর ৷
(প্রাস্বরিক)
স্রষ্টাপাক, পার্শে যার, বিশ্বমাঝ ভয় কী তার!
সত্যপথ, আঁকড়ে থাক্, কষ্ট হোক, নাই যে হার৷
মন্দ কাজ, রুখ্ সবাই, ঐক্য গড়্ সৎ হবার!
বন্ধ কর্ দ্বন্দ্ব সব, দ্বীনকে মান্ প্রাণ সে যাক!
মিথ্যা খুব শক্ত পাপ, দণ্ড —এর নেয় না বাঁক ৷
অত্যাচার অন্ধকার, কাড়বে সুখ, দুঃখে ঠাঁই,
তোল্'রে শির, সাজ্'রে বীর অত্যাচার দূর তাড়াই!
নিত্য কর্— পুণ্যকাজ, পুণ্যহীন শান্তি নাই ৷
স্বরবৃত্ত ও মাত্রাবৃত্তে পর্ব বিভাজন করা যাচ্ছে কিন্তু অক্ষরবৃত্তে যাচ্ছে না তাই এটাকে ত্রিমাত্রিক বলা যাবে না কিন্তু প্রাস্বরিক ঠিক-ই আছে ৷ এই কাব্যে বদ্ধদল, মুক্তদল একই নিয়মে আছে কিন্তু যুক্তাক্ষরের ছকবিন্যাস ও ব্যবহার একরীতিতে না-থাকায় অক্ষরবৃত্তে যাচ্ছে না ৷
এবার পূর্বেকার কবিগণের লেখা থেকে প্রাস্বরিকের উদাহরণ সহ একটু আলোচনা করা যাক ৷
(*১)
ধরিত্রীর চক্ষুনীর মুঞ্চনের ছলে,
কংসারির শঙ্খরব সংসারের তলে ৷
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছন্দালোচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উদাহরণ দিয়ে যা বুঝাতে চেয়েছেন আশা করি ছান্দসিক মাত্র জানেন এবং পড়েছেন ৷ এই ভাবে অসংখ্য উদাহরণ বাংলা সাহিত্যের ছান্দসিকগণের লিখিত ছন্দশাস্ত্রের বই থেকে প্রমাণ দেয়া যাবে ৷ কিন্তু বোকার স্বর্গে বসবাসকারীদের সুবোধ হবে না ৷ যা অতীতে ছিলো তা গোপন করার চেষ্টা করলে সময়ের-তরবারী অবশ্যই কর্তন করবে ৷
অর্থাৎ:— প্রাস্বরিক রীতি, যে রীতিতে মুক্তদল, রুদ্ধদল, যুক্তাক্ষর নির্দিষ্ট ছকবিন্যাসে প্রত্যেক চরণে বা প্রত্যেক দুই চরণে বা প্রত্যেক স্তবকে সমান ভাবে বিন্যস্ত৷ এই রীতিকে ত্রিমাত্রিকও বলা হয় ৷
ছান্দসিক আব্দুল কাদির তাঁর ছন্দবিষয়ক বইয়ে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং এই রীতিতে যুক্তাক্ষর ব্যবহারের অপ্রতুলতা রয়েছে তাও বলেছেন ৷ কাজেই হালকালে যদি কেউ মাত্রার হেরফের, কাঠামোর ভিন্নতা, যুক্তাক্ষরের ব্যবহার এদিক-সেদিক করে নিজেকে —এর আবিষ্কারক বা জনক বলে দাবি করে তবে বিষয়টি চরম হাস্যকর বটে!
রজনীগন্ধা বাস বিলালো,
সজনি, সন্ধ্যা, আসবি নালো?
বঁধুর চিত্তে দোলা রে ছন্দ,
মধুর নৃত্যে ভোলা রে বন্ধ ৷
— যতীন্দ্রমোহন
র জ নী গন/ধা বাস বি লা লো,
স জ নী সন/ধ্যা আস বি না লো?
বঁ ধুর চিত/তে দো লে রে ছন/দ,
ম ধুর নৃত/তে ভো লা রে বন/ধ ৷
কবি যতীন্দ্রমোহ —এর এই স্তবকে প্রথম ও দ্বিতীয় চরণে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ চরণে মুক্তদল, বদ্ধদল, যুক্তাক্ষর একই ছক বিন্যাসে রয়েছে ৷ এই স্তবকটি প্রাস্বরিক রীতি৷ যাকে ত্রিমাত্রিকও বলা হয় ৷
যুগ যুগ পূর্ব হতেই প্রাস্বরিক রীতি বাংলা সাহিত্যের কাব্যশাখায় চলে আসছে ৷ কাজেই যারা এগুলোকে নূতন নাম দিয়ে নিজেদের আবিষ্কারক বা জনক বলছে তা বড়ই হস্যকর!
(*২)
প্রাস্বরিকরীতিতে মুক্তস্বর, বদ্ধস্বর একটি কাব্যে একই নিয়মে প্রত্যেক চরণে অথবা প্রত্যেক দুই চরণে অথবা প্রত্যেক স্তবকে নেওয়া হয় ৷ শুধু মুক্তস্বর বা শুধু বদ্ধস্বরেও নেওয়া হয় ৷ যুক্তাক্ষরকে নির্দিষ্ট ছকবিন্যাসে সাজানো হয় ৷ প্রাস্বরিক মূলত মিশ্ররীতির কবিতা ৷ স্বরবৃত্তে, মাত্রাবৃত্তে, অক্ষরবৃত্তে পর্ববিভাজন ও মাত্রা মিলানো যায় অথবা যেকোনো দুই বৃত্তে মিলানো যায় ৷
উদাহরণ:—
ছিপখান তিনদাঁড় তিনজন মাল্লা,
চৌপর দিন-ভোর দ্যায় দূর-পাল্লা ৷
— সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
এই দুই চরণ প্রাস্বরিক৷ উভয় চরণে বদ্ধস্বর, মুক্তস্বর একই নিয়মে রয়েছে ৷ দুই চরণের শেষ শব্দে একটি করে যুক্তাক্ষরও রয়েছে ৷
হে মোর লক্ষ্মী হৃদয়-মক্ষ্মী তোমার চাঁদ-মুখ কতই সুন্দর ৷
তোমার কণ্ঠে পীযুষ বন্টে, তোমার সব গা'য় সুবাস কুন্দর ৷
—গোলাম মোস্তফা
এই দুই চরণেও বদ্ধস্বর, মুক্তস্বর, যুক্তাক্ষর একই নিয়মে সাজানো রয়েছে৷ উভয় চরণের পর্ব ও মাত্রা উপর-নিচে ঠিকই রয়েছে তবে পর্বের ভিন্নতা রয়েছে আর প্রাস্বরিকে একই চরণে ভিন্ন মাপের পর্ব চলে যা তার মূলে অর্থাৎ সংস্কৃতে রয়েছে ৷
বিষম ছন্দে বোলে ডমরু নৃত্য-বেগে,
ললাট-বহ্নি দোলে প্রলয়ানন্দে জেগে ৷
—নজরুল ইসলাম
কাজী সাহেবের এই দুই চরণে মুক্তস্বর, বদ্ধস্বর এবং যুক্তাক্ষর একই নিয়মে রয়েছে ৷ কাজেই প্রাস্বরিক ৷
প্রাস্বরিকে যুক্তাক্ষর একই নিয়মে না নিলে তিনরীতির কোনো একটি রীতি মিলবে না ৷ অর্থাৎ— তিনবৃত্তে না হয়ে দুইবৃত্তে হবে সত্যেন্দ্রনাথের দূরের পাল্লা কবিতাটি দেখলে এ বিষয়টা স্পষ্ট হবে ৷
বিঃদ্রঃ— প্রাস্বরিকের যে কাব্যকে তিনবৃত্তে পর্ব বিভাজন ও মাত্রা মিলানো যাবে সেটাকে ত্রিমাত্রিক বলা যাবে আর যেটাতে তিনবৃত্তে পর্ব বিভাজন ও মাত্রা মিলানো যাবে না, সেটা ত্রিমাত্রিক নয় ৷
প্রাস্বরিক ও ত্রিমাত্রিকের ছোট্ট বিশ্লেষণ এখানে সমাপ্ত করা হলো ৷
—আশরাফুল ইসলাম
বড়ফেছি, জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ, সিলেট ৷