উত্তরের হাওয়া এসে মাড়িয়ে যায়-রাজধানীর কলাকেন্দ্র,
সখিনার ঘর-বর, নুয়ে-আসা শস্যের ক্ষেত এবং
নুলোভিখেরীর খটখট আওয়াজে অভ্যস্ত দুয়ার।
কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে আসে
মুগ্ধমোড়ে বনলতার হতাশ চোখ,
বলাকার চঞ্চলবুক,
মাথার ওপর শিশুর আকাশ
এবং শীতবৃদ্ধের বিকেলের একমুঠো সোনারোদ ।
দুহাতে শূন্য ছড়ায় চার্বাকের দূত -উদ্দীপ্ত বাতাস,
সবুজ চত্বরে হেসে ওঠে কাঁচি ও করাত;
সমূহশঙ্কায় উৎকণ্ঠিত শুধু হাতেগোনা ক’টি পুরোনো বৃক্ষের গোড়া;
আর নিরজনে কেঁপে ওঠে
দাদির কবর ছুঁয়ে শুয়ে থাকা ডালিমের ছায়া।
ক্ষণে ক্ষণে দীর্ঘতর কেন্দ্রচ্যুত কাফেলার সারি,
বিভ্রান্তলক্ষ এবং গাইডশূন্য মোড়।
এমন অবেলায় কে পারে থাকতে বসে দাওয়ায়?
টমাহক গিলে গিলে অগ্নিসহ আমি এক অদ্ভুত প্রেমিক
উধাও-বসন্তের বিশ্বে- যমদূতের অভিসন্দর্ভ ।
স্বপ্নের আঙিনা ছোঁয়া নশ্বর তল্লাটে
জীবনানন্দীয় প্রত্যয়ে অশ্বত্থের বীজ রোপি রোজ
আর শোনাই গান;
আমার কণ্ঠে বাঁধা আবহমান নিসর্গের সুর
হে বন্ধু, ভুলো না চিনে নিতে,
কোনোদিন নিপাতনে সত্য হলে মুগ্ধকল্প কবির বিশ্বাস।