দিঘীটার ওপারে মস্ত একটা তেঁতুল গাছ
আর দুই পাড়ে কাশবন,
দিঘীর পাড়ের মুক্ত বাতাসে
জুড়ায় আমার দেহ-মন।
দিঘীর পাড়ের সবুজ ঘাসের উপর
ছেলেমেয়েরা খেলা করছে,
একদল বধূ এসেছে ঘাটে
তারা দিঘীর জলে কলসি ভরছে।
কাশেম জেলে দিঘীতে আজ
ফেলছে জাল বার বার,
আজ যে ভরা পূর্ণিমা
তাই তো দিঘীতে এত মাছের সমাহার।
একদল ছেলেমেয়ে ও কিছু পাতিহাঁস
দিঘীর পানিতে সাঁতার কাটছে,
সূর্যি মামা ডুবু ডুবু
তাই পশু-পাখি সব ঘর পানে হাটছে।
মাছরাঙাটা এখানো বসে আছে
ছোট্ট বেল গাছের ডালে,
ঘরে ফিরতে পারছে না সে
কারন মাছ নেই গালে।
দূরের একটা পেয়েরা গাছে
ঘুঘু ডাকছে একটানা,
তাই শুনে ছোট্ট সোনামণিটা
ধরেছে ঘুঘু পোষার বাহানা।
মাগরিবের আযান শুনে মুসল্লিগণ
হাঁটতে থাকে মসজিদ পানে,
হিন্দু বাড়ি মুখরিত হয়
সন্ধ্যা আরতির গানে...।
মাছরাঙা ও হাঁসগুলো আস্তে আস্তে
ছুটছে নিজ নিজ ঘরের দিকে,
বাড়ির গৃহিণী হাঁস-মুরগী গুলোকে
ঘরে ডাকছে হেকে হেকে।
আস্তে আস্তে আঁধার নামে
কোলাহল রুপায়িত হয় নিস্তবতায়,
ঠিক তেমনি এক দৃশ্য
যেমনটি শুনেছি রূপকথায়......।
বিঃদ্রঃ আমি একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। আমার গ্রামের বাড়ির পাশেই আছে মস্ত বড় একটা দিঘী...পড়ন্ত বিকেলে সেই দিঘীর পাড়ে বসেই কবিতাটি লেখা।