ভালোবাসা জিঘাংসা রাজকীয় বিশ্বাস শঠতা
হেলেনকে ইতিহাস কালজয়ী প্রেম পূজারী করে।
প্যারিস হেলেনের প্রেম কাহিনী বিশ্ববাসীর
অন্তরে চির জাগ্রত অম্লান হৃদয় বিমোহিত করে।

পার্টার রাজা টিনডারিউস ও স্ত্রী লিডারের কোল
আলোকিত করে ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয় অর্পিত।
রাজ জ্যোতিষ তার নাম রাখে হেলেন,
করে ভবিষ্যৎবাণী বড় হয়ে হবে সে জগৎখ্যাত।

শিশু রাজকন্যা হেলেন ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে
স্বর্গীয়রূপ লাবণ্যময়তা লাভ করে।
অসাধারণ নারীত্বের মোহনীয়তা পূর্ণতারূপে
অনিন্দ্য সুন্দরী ট্রয় অব হেলেন সবার হদয় কাঁড়ে।

ট্রয় অব হেলেনের অপরূপ সৌন্দর্য মোহনীতা
ঝড়োবেগে দূরদূরান্তে প্রকাশিত হয়ে যায়।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বহু সুদর্শন যুবরাজ রাজকন্যার
পাণিপ্রার্থীতায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় সময় কাটায়।

রাজকন্যা অনিন্দ্য রূপ লাবণ্যের কাহিনী সুভাগ্য
ক্রমে স্পার্টার রাজা মেনেলাউস অবগতি পায়।
মেনেলাউস অনিন্দ্য রূপের দেবী রাজকন্যার রূপে
আর্বিভূত হয়ে পাণিপ্রর্থীতার অভিপ্রায়ে পাগল প্রায়।

ট্রয় অব হেলেন কখনো রাজি ছিল না মেনেলাউস
কে স্বামী হিসেবে সে করতে বরণ।
রাজা মেনেলাউসের অনুনয় বিনয়ে পার্টার রাজা
টিনডারিউস রাজি হয় রাজকন্যা করতে সম্পাদন।

ট্রয় অব হেলেন কখনোই মেনে নিতে পরেনি স্বামী
মেনেলাউসকে তাই থাকতেন তিনি মনমরা হয়ে।
রাজপত্নী নিজেকে রাখতেন চুপিচুপি আড়াল করে
ভিন্ন কিছুর আশায় অন্তর কষ্টে বিদীর্ণ আকাশ ছুঁয়ে।

স্পার্টার রাজা মেনেলাউস পত্নী ট্রয় অব হেলেনকে
ভালোবাসতেন অকল্পনীয় প্রানের চেয়েও বেশী।
রাজপত্নীর মুখের হাসি দেখার জন্য দামি নতুন
পোশাক পরে গোলাপ ফুল দিতো উপহার করতে খুশি।

যুবরাজ প্যারিস ও হ্যক্টর ব্যবসায়ীক চুক্তি করতে
সাক্ষাত করে স্পার্টার রাজা মেনেলাউসের সাথে।
ট্রয় যুবরাজের অভিবাদনে রাজা মেনেলাউস
রাজ্য তার অপরূপ সজ্জিত করে ব্যবসায়ীক স্বার্থে।

অতিথি আপ্যায়নে মেনেলাউস রাজ প্রসাদে  
করে নৈশ্যভূজের বিশাল আয়োজন।
মহা ধুমধামের সহিত অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে
ট্রয় অব হেলেনের সাথে করে দেয় পরিচয় গ্রহণ।

যুবরাজ প্যারিস ট্রয় অব হেলেনের  রূপ লাবণ্যে হয়
বিমোহিত হৃদয়ে উঠে তার প্রেমের অপ্রতিরোধ্য ঝড়।
যুবরাজ প্যারিস হেলেনের প্রতি চড়ম
আকৃষ্টতায় দৃষ্টি নিক্ষিপ্ত হয় পাগল মনা প্রেম স্বনির্ভর।

ট্রয় যুবরাজ ব্যবসায়ীক কাজ বিশ দিন রাজকীয়
ভাবে করতে রাজপ্রাসাদে করে আয়োজন।
বড় ভাই হ্যক্টর ছিলো ব্যস্ত ব্যবসায়ীক কাজে যুবরাজ
প্যারিস গোপনে অন্দর মহলে করতো প্রেমালাপণ।

ট্রয় যুবরাজ বিদায় সম্মানার্থে সারারাত্র ব্যাপিয়া
সুন্দরী মেয়েরা অনুষ্ঠানে নৃত্যোৎসব করে।
ট্রয় প্যারিস লোকারণ্য রাজপ্রসাদ থেকে গোপনে
হেলেনকে লোকায়িত করে পালিয়ে জাহাজে চড়ে।

পথিমধ্যে বড় ভাই হ্যক্টর জানতে পেরে জাহাজ
ঘুরায় হেলেনকে ফেরৎ দিবে মেনেলাউসের হাতে।
ছোট্ট ভাই প্যারিসের কান্নায় হ্যক্টর তার সিদ্ধান্ত
পাল্টায়ে ট্রয়নগরী অভিমুখে যাত্রা করে তৎখনাতে।

স্পার্টার রাজ্যে সমালোচনার উঠে ঝড় ট্রয় প্যারিস
রাজপত্নী হেলেনকে করছে অপহরণ।
মেনেলাউস পত্নী হেলেনকে উদ্ধার করতে বড় ভাই
রাজা আগামেননের নিকট সাহায্য করলো আবেদন।

মেনেলাউসকে সাহায্য করতে ভাই আগামেনন
রণতরী সজ্জিত করে যাত্রা করে ট্রয়ের অভিমুখ।
গ্রীসের সম্মান বাঁচাতে সকল গ্রীক
রাজাদের যুদ্ধের সাহায্য করতে জানাল অনুরোধ।

ভাই আগামেনন ও মেনেলাউস এক হাজার জাহাজ
নিয়ে ট্রয় নগরী করে বীভৎস আক্রমণ।
একযুগ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধেও হয়নি কোন জয় পরাজয়,
শক্তিতে ছিলো উভয়েই সমান যুদ্ধ চলে প্রানপণ।

গ্রীকযোদ্ধারা প্রতারণার প্রশ্রয়ে তৈরী করে ছিলো বিশাল
আকৃতির কাঠের তৈরী ঘোড়া নাম তার ট্রোজেন হর্স।
উপহার করে গোপনে পাঠায় ট্রয় নগরীতে
রাজ্যবাসী খুশিতে রাখে রাষ্ট্রীয়কেন্দ্রে মেনেছে যেন বশ।

গভীর রাত্রে ট্রয়বাসী ঘুমন্ত অবস্থায় কাঠের ঘোড়া
থেকে বেরিয়ে আসে অনেক গ্রীকযোদ্ধা রণবীর।
অতর্কিত হামলায় হত্যা করে বীর যোদ্ধা, আগুনে
পুড়ায় ট্রয় নগরী, মানুষ পুড়ে মারে সমগ্র ট্রয়বাসীর।

পত্নী হেলেনকে বাঁচাতে গ্রীক বীর একেলিস হয়ে ছিলো
অগ্রসর হ্যক্টর তীর বিদ্ধ করে তাকে করে বধ।
সুযোগ সাপেক্ষ হেলেন করে পলায়ন মেনেলাউসের
সাথে মিলন হয়েছে কিনা অজানা রয়েছে তথ্যমত।

যুবরাজ প্যারিস ট্রয় অব হেলেন প্রেমের উজ্জ্বল
নক্ষত্র পৃথিবীর ইতিহাসে জ্বল জ্বল করে প্রজ্বলিত।
রাজপত্নী হেলেনকে উদ্ধার করতে একযুগ রক্ত
ক্ষয়ী যুদ্ধে ট্রয়নগরী হলো ধ্বংশ তবুও প্রেমে উদ্ভাসিত।

মার্চ২৪,২০২১