হে মোর পরম সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টি করিয়াছ মোরে
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জাতি মানব জাতি করিয়া।
সকল প্রশংসা ও গুণকীর্তন শুধু করি তোমায়
নিবেদন জনম জনম ভরিয়া।
এই ধরনী সৃষ্টি হইতে অস্তমিত পযর্ন্ত যদি করি
তোমার গুণকীর্তন ও প্রার্থনা।
তবুও অতৃপ্ত শূণ্য অন্তর মোর পরিতৃপ্ত হইবে
না কভূ ষোল আনা।
সকল প্রশংসা হইল শুধুই তোমার কি সুন্দর
তোমার মহিমা ব্যঞ্জক রহমত।
সকল সৃষ্টিকুল করিতেছে গুণকীর্তন, কার্লফে
যিকির অন্তরে শুধু তোমার খাস মহব্বত।
কত পূতপবিত্র করিয়া তৈরি করিয়াছ মহিমান্বিত
আলোক উজ্জ্বল ফেরেশতা সকল।
সর্বদাই করিতেছে যিকির, রহিয়াছে সিজদায়,
সর্বক্ষণ থাকিতেছে তোমার ধ্যানাসনে মশগুল।
তবুও তোমার এই পাপীতাপী বান্দাবান্দী মানব
জাতিকে দিয়াছ তুমি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সম্মান।
ফেরেশতাগণ করিয়াছে সিজদা মাটির তৈরী আদম
(আঃ)কে শ্রেষ্ঠনবী হইতে পাওয়া নূরের ঝলক চিরন্তন।
আদম (আঃ) কার্লফের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রূহ
থাকিতে নাহি চায়, রূহ করিয়াছে শুধু আনচান।
শ্রেষ্ঠ নবীজির রূহের স্থানান্তরিত নূর আলোকিত
করিয়াছে আদম (আঃ) কার্লফ, কি সুন্দর সমাধান।
নূরের সহিত নূরের হইয়াছে খেলা শ্রেষ্ঠত্বের
হইল অপূর্ব সুন্দর সমাধান।
সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত নেই কোন সিজদা, বাণী
চিরন্তন হৃদয়ে মোদের চির জাগ্রত অম্লান।
জগৎপতি তুমিই অধিকারী একমাত্র প্রাপ্য
সমস্ত প্রশংসা ও অতুলনীয় অসীম সম্মান।
তোমার অশেষ রহমতের মহিমায় বাঁচিয়া
আছি মোরা তবুও করিতেছি যেন নাফরমান।
তথাপি হও নাই ক্ষিপ্ত, কর নাই ধবংস, দেখ
নাই করিয়া তুচ্ছ, করিতেছনা মোদের অসম্মান।
মহিমান্বিত কুদরতি ক্ষমার হাতে, রহমতের
ডাক ডাকিতেছ ”হে আমার প্রভু সু-মহান”।
রহমতের পুষ্প বৃষ্টিস্নাত করিতেছ মোদের,
আলোকিত করিতেছ কার্লফের অন্ধকার।
তবুও মোরা বড়ই অকৃতজ্ঞ জাতি, পাপরাশির
অনলে পুড়িয়া অন্তর করিতেছি ছারখার।
তোমার কুদরতি শক্তিতে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড হইতেছে
পরিচালিত, দেখিয়াও করিতেছি অস্বীকার।
প্রার্থনা করিতেছি খাস রহমতকর তুমি, সঠিক
পথে পরিচালিত কর, হে দয়াময় প্রভু আমার।
অনেক মহব্বত করিয়া পরিতৃপ্তির জন্য তৈরী
করিয়াছ মোদের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব জাতি।
মোদের সমস্ত ন্যায়-অন্যায় দাওগো করিয়া
ক্ষমা, একবার যদি তোমায় জানানো হয় আর্তি।
এতো বেশী ভালোবাস যাহার উপমা দেওয়ার
মতো সাধ্যতা মোদের নাই, এই রহস্যময়ী ভুবনে।
তোমার উপমা শুধু তুমিই, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য সকল
সৃষ্টি, শুধু মুখাপেক্ষী হইয়া আছে তোমারি স্মরণে।
নভেম্বর ১৫, ২০২০ খ্রিঃ