খাওয়ার পাগল ছিলাম আমি পেটে থাকিত
মরণ কামড় ক্ষুধা আমার ছোট্ট বেলা।
অনাহার-অর্ধাহারে কাটিত দিন একমুঠো ভাতের
জন্য অপেক্ষায় পার হইত আমার সারা বেলা।
সঙ্গী সাথীদের রুচিকর খাবার দেখিয়া অন্তরে
আসিত খাওয়ার প্রতি ভীষণ আগ্রহ।
কানাকড়ি খরচ করিবার কোন সমর্থ ছিলো না
আমার শুধু অন্তর পুড়িত কষ্ট ছিলো দুর্বিষহ।
অর্থ সম্পদ প্রাচুর্য কোন কিছুই এখন আমার
নেই আর কোন একটুও অভাব।
খাইতে চাহিলেও পাড়ি না খাইতে রুচিবোধ
গিয়াছে জলাঞ্জলি চিরাচরিত প্রকৃতির স্বভাব।
ছোট্ট বেলায় ভাবিতাম আমি বড় হইয়া নামী
দামী হইব একটা কিছু।
সুখ শান্তিতে দিন কাটাইব লেখা পড়ার চাপ
করিবে না তাড়া আর আমার পিছু পিছু।
এখন আমি ভাবনার মহা ধূম্রজ্বালে বসিয়া শুধু
ভাবি অতীতের সেই শৈশব দিনগুলির ইতিকথা।
শৈশব কালেই ফিরিয়া যাইতে মন করিতেছে
শুধু আনচান অন্তরে মোর অতীত স্মৃতির তীব্রব্যাথা।
সব কিছুতেই অনুভব করি শূণ্যোতা, রহিয়াছে
কোথাও না কোথাও কোন অভাব।
শূণ্যোতা করিয়াছে সর্বত্র দখল আত্মাঃ হইয়াছে
নিঃস্ব কষ্ট-দুর্দশা বাঁধিনু বাসা অস্বচ্ছ আবির্ভাব।
শূণ্যোতার মহারাজ্যে বিমোহিত আমি মহারাজ,
নেই কোন আমার "শূণ্যোতার" একটু অভাব।
নৈরাশ্যের মহা সমূদ্র জলরাশির ভাসমান
ফেণারাশি আমি অস্থির চঞ্চল নিদারুণ প্রভাব।
জুলাই ২৯, ২০২১