তিরোস্কারের হাসি হাসলে
অমোন, তখন তুই করিসনে একটুখানি বারণ।
সর্বক্ষণ থাকতে সাথে মনে
থাকতো তোর সপ্তরাঙা বরণ।
বুকে ছুরি মারবি বলে করছিস
তুই ছলচাতুরী করে অবজ্ঞা শুধু জ্ঞাপন।
স্বার্থপর লোভী তুই মিথ্যা
অজুহাতে করছিস অমোন।
এখন শুধু পুড়ছি আমি
পুড়ছে অন্তর আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতোন।
তোর মনেতে রঙ লেগেছে,
মন হয়েছে প্রজাপতির মতোন।
যে পুড়েছে সে বুঝেছে
তুই বুঝবিনারে অগ্নিদহনে অন্তর পুড়ে কেমন।
পোড়ামুখী করছিস তুই ছলচাতুরি
হৃদয়ে হলো শুধু আমার রক্তক্ষরণ।
ভালো থাকিস সুখে থাকিস
কভূ পুড়িস না তুই অগ্নিদহনে আমার মতোন।
মুখের হাসি যাবে চলে অন্তর
পুড়ে ছাঁই হবে বুঝতি মজা তখোন।
যা নিয়েছিস, যা পেয়েছিস,
ভাবিস তুই বুকের মধ্যখানে অন্তরের ভিতর।
কেমন করে কালসাপিনী তুলে
ফণা ছোবল মারলি আমারি অন্তর।
দিচ্ছিস যতো পাবি ততো কম
হবেনা তার, সময়মতো বুঝবি মজা ঋণের বোঝা কতো ভার।
ঋনের বোঝা করচ্ছিস বড়
অন্তর পুড়ে হবে তোর ছারখার।
সুন্দর করে বাঁচার খুব ইচ্ছে
ছিলো দেখতাম স্বপ্ন তোকে নিয়ে বাসতাম ভাল তাই।
সবকিছুতেই বিষ মিশিয়ে
করলি তুই স্বপ্ন আমার ছাঁই।
মৃত্যুর প্রহর গুনছি আমি
বাঁচার স্বপ্ন এখন আর এ ভূবনে কেন জানি নাই।
সবকিছুতেই তোকে আমি
করবো দায়ী মিথ্যার কিছু নাই।
আত্মদংশনে পুড়বে অন্তর,
মরবি তুই রক্ষা পাওয়ার কোন উপায়ান্তর নাই।
বিস্মৃতিগুলো পলেপলে করবে
আঘাত পাবেনা বিন্দুমাত্র ঠাঁই।
তোর মতো কুৎসিত নোংড়া মনের
মানুষগুলো তবুও কেন আসে এ অনিন্দসুন্দর অবনীতে।
লজ্জায় মরি ভয়ে কাঁপি তোর
বিস্মৃতিগুলোর নিঃসরিত আঘাতে।
মার্চ ২৭, ২০২১