ভোরের দূর্বাঘাসে সোনালী আভায় শিশির
বিন্দু চিকচিক প্রজ্জ্বোলিত অভয়খানি।
দৃষ্টিনন্দিত অপরূপ চেহারা তাহার
ডাকিতেছে মোরে দিয়া প্রেমের হাতছানি।

দুচোখ ভরা তাহার রঙ্গিন স্বপ্ন হৃদয়ে
ছিল প্রেমের মৃদু আভাস।
অন্তরে বহিতেছে আমার দক্ষিণা
সমীরণ প্রেমের দীর্ঘ উচ্ছ্বাস।

সতত চেষ্টা করিয়াও রাখিতে পরিনা
নিজেকে বাঁধিয়া করিতে সংবরণ।
মনে শুধু  তাহার প্রতিচ্ছবি ভাসিয়া
বেড়ায় হৃদয় করিয়াছে সে অপহরণ।

মেঘলা দুপুরে হঠাৎ করিয়া রাস্তার
পার্শ্বে তাহার সহিত দেখা।
মিষ্টি হেসে বলিল আকাশে মেঘ
বাড়ীতে উঠুন নামটি ছিল তাহার রেখা।

সময় সুযোগ মত বলিল সে তাহার
হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার কথা।
লজ্জায় রক্তিম বর্ণ ধারন করিয়া ইতস্তত
মনে সামলিয়ে নিয়েছিল প্রেমের ব্যাথা।

অন্তরে বহিল আমার আবেগ উচ্ছ্বাসিত
অপ্রতিরোধ্য দুর্নিবার ঘুর্নিঝর।
অন্তর আত্মা করিল ধুঁক ধুঁক শরীরে মৃদু
কাঁপুনি ভালোবাসা হোক অবিনশ্বর।

কালের আবর্তনে ভালোবাসা হইল
পরিপক্ব নেই কোন তাতে ফাঁকা।
সমগ্র হৃদয় করিল সে দখল হইয়াছি
দুজনে দুজনার হৃদয়ে আছে আঁকা।

উভয়েই আনন্দে হইতাম আত্মহারা
মনে উঠিত আনন্দের শিহরণ।
প্রেমের পরিপূর্ণতায় অন্তর পুলকিত
হইয়া রক্তে আসিত নাচন।

গোধূলি লগ্নে বিমূর্ত চেহারায় স্নায়ুবিক
চাপ নীলবর্ণ করিল ধারন।
কান্নার ঢেউ তুলে চাপাকন্ঠে বলিল
জোড়পূর্বক দিবে বিয়া চল করি পলায়ন।

নির্বাক আমি শেষ পর্যন্ত করিতে পারিনি
আমার প্রেয়সীর সম্ভ্রম রক্ষা।
আমি নিরুপায় কাপূরুষের মত
অবমূল্যায়ন করিয়াছি প্রেয়সীর প্রতিক্ষা।

এখনো তাহার শরীরের কাঁচাগন্ধ কন্ঠের
প্রতিধ্বনি হৃদয় করে রক্তক্ষরণ।
আমি কিছুতেই আমাকে করিতে পারিনি
ক্ষমা শুধু করিতছি কালক্ষেপণ।

প্রেমকাব্য সৃষ্টিতে চারুশিল্পীর
রংতুলির যেন জীবন্ত আলপনা।
কাব্যে প্রাণের ঘটায় সঞ্চার শৈল্পিক
মনের শুধু ভাবনার কল্পনা।

০৪ জানুয়ারি,২০২১