রাণী ক্লিওপেট্রা ছিলেন সম্মোহনী সৌন্দর্য
ও অধিকারী ছিলেন অভাবনীয় ক্ষমতার।
সীমিত শক্তিকে অসাধারণ কৌশলে
অসীমের দিকে লইয়া যাওয়া এক রূপকার।
রাণী ক্লিওপেট্রা প্রাচীন মিশর এবং ইতিহাসে
বিমোহিত এক অভিনব বিস্ময়কর নাম।
প্রাচীন হইতে আধুনিক বিশ্বের সমগ্র সাহিত্য
ইতিহাসে বিখ্যাত তিনি অপূর্ব তাহার সুনাম।
আধুনিক ইতিহাসবিদের মতামত অনুযায়ী
তিনি কখনোই পরমা সুন্দরী রমণী ছিলেন না।
ক্লিওপেট্রার বুদ্ধি কৌশল বিচক্ষণতা তাহাকে
লইয়া যায় ইতিহাসের সেরা নারীর সম্মাননা।
তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা উচ্চাভিলাষীতা রসাত্মকতা
অন্যকে বশ করিবার প্রবৃত্তি ছিল তাহার অদম্য।
সর্বকালের সেরা মহিলাদের মধ্যে চমকপ্রদ স্বার্থক
মহিলা তিনি শ্রেষ্টত্বের অধিকারী যোগ্যতম।
উনচল্লিশ বছর বয়সের জীবন দশায় এতো
বেশী প্রাণচাঞ্চল্য ইতিহাস করিয়াছে তৈয়ার।
যাহা কোন তীক্ষ্ণ বিচক্ষণ পুরুষ মানুষের
পক্ষেও অসম্ভব যেন তাহার পার্শ্বে দাঁড়াইবার।
সর্বকালের ইতিহাস ও নাটকে তাহার পাওয়া
যায় ব্যপক প্রাণচাঞ্চল্যকর উপস্থিতি।
বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিকগণ তাহাকে লইয়া
লিখিয়াছেন বহু কালজয়ী উপাখ্যান যথারীতি।
সেক্সপেয়ারের "এনজুরি এন্ড ক্লিওপেট্রা" জন
টাইডেনের "অল ফর লাভ" করিয়াছে প্রস্ফুটিত।
বিশ্বখ্যাত অনেক সাহিত্যিক তাহার ভালোর
চাইতে খারাপ দিকটিকে করিয়াছেন বর্ণিত।
ভালোবাসা আর মৃত্যু এই নারীর জীবনে উভয়
হইয়া ছিল একাকার অতি সাধারন ব্যাপার।
ভালোবাসার উষ্ণ হাওয়া যেমনি বহিত তাহার,
প্রয়োজনে কড়া জবাব দিত মারাত্মক হিংস্রতার।
কাউকে পথের কাটা মনে করিলে নির্মম ভাবে
সরিয়ে দিতে করিতেন না বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ।
রোমান রাজনীতির অত্যান্ত সংকটপূর্ণ অধ্যায়ে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় বাড়িল তাহার মূল্যবোধ।
তিনি সে যুগের সাধারন নারীর মতো সাদামাটা
জীবন না মানিয়া ইতিহাস করিয়াছেন সৃষ্টি।
অন্য সকল কিংবদন্তীর তুলনা তিনি নিজেকে
ভিন্নমাত্রা আকর্ষিত করিয়াছেন সকলের দৃষ্টি।
দাত্রির মতে লালসার শাস্তি হিসাবে ক্লিওপেট্রা
অবস্থান করিতেছেন নরকের দ্বিতীয় স্তরে,
দাও দাও করিয়া জ্বলিতেছে আগুন পুড়িতেছে
দেহ অগ্নিদগ্ধ হইতেছে ক্লিওপেট্রার সমগ্র শরীরে।
অক্টাভিয়াস বিজয়ের পর মিশরের দুই হাজার
নথিপত্র পুড়িল রোমানীয় লেখা পাইতে প্রাধান্য।
রোমানীয়রা ক্লিওপেট্রাকে এশিয়ান বলিয়া সমগ্র
এশিয়ানকে কর্দমাক্ত করিয়া নিজেরা হইল ধন্য।
অনেকে যৌন আবেদনময় দিকটিকেই খুববেশী
গুরুত্ব সহকারে দেখিয়া করিয়াছেন কটাক্ষ।
সামাজ্যবাদী রোমানীয়রা খলনায়ক আখ্যায়িত
করিয়া আরো বেশী করিয়াছেন কলংকিত।
ক্লিওপেট্রা মিশরের রানী ছিলেন কিন্তু তাহার
শরীরে ছিল না খাঁটি মিশরীয় রক্ত।
তথাপি তিনি মিশর এবং মিশরীয়দের অনেক
ভালোবাসিতেন উন্নয়নে ছিলেন ভীষণ আসক্ত।
কৃষি ক্ষেত্রে করিয়াছেন ব্যাপক উন্নতি নীলনদ
হইতে খাল কাটিয়াছেন আলেকজান্দিয়া পর্যন্ত।
ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষেত্রে করিয়াছেন অধিক উন্নয়ন
তাই রাজ্য পরিচালনায় হইয়াছেন তিনি বিমোহিত।
রাজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে তিন সহোদরকে
হত্যা করা ব্যাতিত বড় কোন দোষ ছিল না আর।
টলেমী সামাজ্যোর শেষ রাণী ছিলেন তিনি
মিশরীয় ভাষাসহ নয়টি ভাষা জানা ছিল তাহার।
পিতা দ্বাদশ টলেমির মৃত্যুর পূর্বে জারি করিয়া
ছিলেন প্রজ্ঞাপন।
ভাই তয়োদশ টলেমীকে ক্লিওপেট্রা প্রাচীন রীতি
অনুসারে বিবাহ করিয়া রাজ্য করিবে পরিচালন।
প্রাচীন যুগে রাজা কতৃক অনুমোদিত রীতি ছিল
দুইজন বিপরীত লিঙ্গধর রাজ্য করিবে শাসন।
পিতা দ্বাদশ টলেমীর মৃত্যুর পূর্বে ক্লিওপেট্রা
সহযোগী হিসাবে রাজ্য করিয়াছেন পরিচালন।
পিতার মৃত্যুর পর রীতি অনুযায়ী ভাই তয়োদশ
টলেমীকে অনিচ্ছা সত্যেও করিলেন বিবাহ।
স্বামী ভাইয়ের সহিত সংসারধর্মে নাহি ছিল
মন, জুলিও সিজারের সহিত ছিল প্রেম প্রবাহ।
রোমান সম্রাট সিজার প্রতিদ্বন্দ্বী পোম্পেকে
পিছনে ধাওয়া করিতে করিতে হইলেন অগ্রসর।
পোম্পে অগ্রসর হইয়া মিশরে করিলেন প্রবেশ,
সহযোগীতা না পাইয়া নিহত হইলেন অমানবেতর।
চারদিন পর সম্রাট সিজার মিশরে তয়োদশ
টালেমীর বাঁধা ভাঙ্গিয়া করিলেন প্রবেশ।
সিজারের মোহ ছিল সম্পদের আর ক্লিওপেট্রার
ক্ষমত, তাই ফন্দি আঁটিতে দিলেন মনোনিবেশ।
টলেমী সিজারকে করিতে পারিতেন না সহ্য,
ক্লিওপেট্রার বিরুদ্ধে করিতেন ষড়যন্ত্র।
ক্লিওপেট্রা পথের কাঁটা সরাইতে সিজারকে করিলেন
ইশারা, টলেমী নীলনদে ডুবিয়া হইলেন সর্বশান্ত।
ভাই চতুর্দশের সহিত পূনরা হইলেন বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ, ষড়যন্ত্রের কারণে তাহাকেও করিলেন হত্যা।
ক্লিওপেট্রার ছোট্ট বোন ভাইয়ের পক্ষে বিদ্রোহ
করিলে নির্মমভাবে দেখাইলেন তিনি নরঘাতকতা।
আলেকজান্দিয়ার প্রাসাদে ক্লিওপেট্রার স্বামী
ভাইয়ের সৈন্য ছিল সম্রাট সিজারের পাহারা।
সিজারের সহিত সাক্ষাত ছিল এক কঠিন অসাধ্য
ব্যাপর ক্লিওপেট্রা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি খাঁটাইল সর্বসেরা।
জনৈক ব্যবসায়ীকে হস্তগত করিয়া ক্লিওপেট্রা
কার্পেটের রুলের ভিতর ঢুকিয়া পড়িল।
সম্রাট সিজারের সম্মুখে কার্পেটের রোল খোলা
মাত্রই সিজারকে অবাক করিয়া বাহির হইয়া গেলো।
সিজার সম্মুখে পরমা সুন্দরী রূপসীকে দেখিয়া
আবেগে উদ্ভাসিত হইয়া প্রায় জ্ঞান হারাইল।
অন্তরে হইল অপ্রতিরোধ্য নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ
মতো ঝাঁকুনি স্বৈর্গীয়দেবী যেন হাতের মুঠো পাইল।
রোমানীয় সম্রাট জুলিও সিজারকে ক্ষমতা শক্তি
সমন্বয়ের জন্য ধূর্তার সহিত করিলেন আসক্ত।
সম্পর্কের ফলশ্রুতিতে হইয়া ছিল ছেলে সন্তান
সিজারিয়ান যাহা তাহাদের প্রেমকে করিল পোক্ত।
সিজারের পূর্বের স্ত্রীর শুধু ছিল কন্যা সন্তান তাই
সিজারিয়ান জন্মলাভে খুশি হইয়া দিলেন স্বৃকিতি।
ক্লিওপেট্রাকে অনেক বেশী ভালোবাসিতেন নির্দশন
স্বরূপ মন্দিরে রাখিয়া ছিলেন ক্লিওপেট্রার স্বর্ণমূর্তি।
ক্লিওপেট্রার রুমে অবস্থান কালে সিনেট ভবনের
বাহিরে সিনেটরদের হাতে সিজার হইল নিহত।
সিজার পূর্বে ক্লিওপেট্রা কিম্বা সিজারিয়ান কে
উত্তরসূরী না করায় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা হইল বিচ্যুত।
অবস্থা বেগতিক দেখিয়া তিনি রহিলেন চুপচাপ,
নতুন সম্রাট হইলে তাহার সহিত মিলাইবেন হাত।
কাহারো পক্ষ লইয়া শত্রু বাড়ানো হইবে না
ফলপ্রসূ ভাগ্য সুপ্রসন্নে শুধু ঘটাইবে ব্যাঘাত।
ঘ্যাস এ্যকটেভিয়াসকে বেকায়দা ফেলিয়া প্রধান
সেনাপতি মার্ক এন্টোনি হইলেন রোমান সম্রাট।
ক্লিওপেট্রা সময় সুযোগ বুঝিয়া এশিয়া মাইনরের
দার্সাসে মার্ক এন্টোনির সহিত করিলেন সাক্ষাত।
ক্লিওপেট্রা রূপচর্চা ও প্রসাধনী দ্রব্য সুগন্ধির প্রতি
ছিল ভীষণ দুর্বল যাহাতে উদ্ভাসিত করে অন্তর।
ক্লিওপেট্রা ব্যবহৃত জাহাজের পাল সুগন্ধিতে
রাখিয়া ছিল সিক্ত এন্টোনিকে করিতে রূপান্তর।
ক্লিওপেট্রা মণিমুক্তা রত্নরাজিতে অপরূপা অনিন্দ্য
প্রেমের দেবী আফ্রোদীতি সাজিয়া উপস্হিত হইল।
ক্লিওপেট্রার অপরূপে উদ্ভাসিত হইয়া এন্টোনি
ক্লিওপেট্রার প্রেমে হাবুডুবু খাইয়া অন্তর ভাসাইল।
পরাক্রমশালী জেনারেল সত্যেও মার্ক এন্টোনি
ছিল উশৃংখল ছটফটে অদ্ভুত প্রকৃতির লোক।
ক্লিওপেট্রার প্রেমে মজিয়া কিনা গোলামে হইল
পরিণত পারস্য অভিযান করিল পণ্ড অহেতুক।
ক্লিওপেট্রাকে লইয়া অবকাশ যাপনে করিলেন
আলেকজান্দিয়া গমন করিতে আনন্দ বিহার।
ক্লিওপেট্রা তাহার স্বার্থে নিখুঁত ভাবে সমস্ত কিছু
করিয়া ছিলেন এন্টোনির জন্য উন্মুক্ত ও উদার।
মার্ক এন্টোনির সাথে সমন্বয় রাখিয়া তিনি হইয়া
ছিলেন অনেক বড় ক্ষমতাধর।
মিশরীয় সামাজ্যে এন্টোনির সহয়তায় ক্লিওপেট্রা
করিতে পারিয়া ছিলেন রাজ্য শাসন মনোমুগ্ধকর।
স্ত্রী ফুলবিয়ার মৃত্যুর পর প্রতিদ্বন্দ্বী অক্টাভিয়ানকে
করিতে খুশি বোন অক্টাভিয়াকে করিলেন বিবাহ।
সুদীর্ঘ প্রেমলীলার ফলশ্রুতিতে এন্টোনি ক্লিওপেট্রাকে
বিবাহ করিয়া বাঁধিয়া রাখিলেন জীবন প্রবাহ।
বিবাহ বন্ধন শক্ত করিয়া ক্লিওপেট্রার গর্ভে আসিল
যমজ দুই সন্তান আনন্দের নাই কোন শেষ।
হাসি আনন্দে দিন কাটিল, মিশরের ক্ষমতা করিলো
ভাগাভাগি দুই জনের সময় কাটিল বেশ।
মার্ক এন্টোনি মিশরকে করতঃ রাজ্য নয় বরং স্বাধীন
রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করিয়া ছিলেন তিনি।
স্বাধীন রাষ্ট্র মিশরের ক্লিওপেট্রা হইলেন মিশর রাজ্য
পরিচালনার জন্য এক মাত্র বিমোহিত রাণী।
প্রচীন রোমানীয় সভ্যতায় একসাথে দুই স্ত্রী রাখা
সম্পূর্ণরূপে ছিল নিষিদ্ধ।
ক্লিওপেট্রাকে বিবাহ, বোন অক্টাভিয়ার প্রতি
অবহেলা অক্টাভিয়ানের ইজ্জত করিলো বিদগ্ধ।
মার্ক এন্টোনির নিকট স্ত্রী অক্টাভিয়ার মূল্য এক
সময় নিঃশেষ হইয়া পরিলো।
মূল্যবোধ ও তিক্ততার ফলশ্রুতিতে অক্টাভিয়াকে
তাহার জীবন হইতে তালাক প্রাপ্ত করিয়া দিল।
মার্ক এন্টোনির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী অক্টাভিয়ানের
দূরত্ব গেলো আরো অনেক বাড়িয়া।
তাহাদের মধ্যে অবধারিত যুদ্ধ বাঁধিবার দামামা
আসিলো যেন দ্রুততম ঘনিয়া।
স্থলযুদ্ধ পারদর্শী মার্ক এন্টোনি, ক্লিওপেট্রার
পরামর্শক্রমে শুরু করিলো নৌযুদ্ধ।
যুদ্ধ চলাকালীন সময় ক্লিওপেট্রা তাহার নৌবহর
করিলো অপসারণ কারণ ছিলো অজ্ঞাত।
চলিলো তুমুল যুদ্ধ, নির্মম পরাজয়ের আত্মঃগ্লানি
মার্ক এন্টোনিকে বহন করিতে হইলো।
যুদ্ধ বিজয়ী অক্টাভিয়ান হইলো রোমান সম্রাট,
এন্টোনির ভাগ্যে অন্ধকারের ঘনঘটা নামিয়া আসিলো।
ক্ষমতা লিপসু ক্লিওপেট্রা, সম্রাট অক্টাভিয়ানকে
হস্তগত করিতে লাগিলো পিছু পিছু।
সুদক্ষ অক্টাভিয়ান চতুর ক্লিওপেট্রাকে করিলো
পরিহার লাভ হইলো না কিছু।
অক্টাভিয়ান ক্লিওপেট্রার সাথে কথা বলিতে কখনো
তাহার চোখের দিকে তাকাইনি।
ক্লিওপেট্রার চোখের যাদু তাহাকে যেন দুর্বল না
করিয়া বাড়ায় ক্ষমতা সম্মোহনী।
ক্লিওপেট্রা বুঝিতে পারিয়া অধিক ক্ষমতাধর মার্ক
এন্টোনিকে আত্মহত্যা করিতে করিলো প্ররোচিত।
মন্দিরে প্রবেশ করিয়া তিনি আত্মহত্যা করিয়াছেন,
চিরকুট লিখিয়া এন্টোনিকে করিলো মিথ্যা প্রবঞ্চিত।
প্রাণাধিক প্রিয় ক্লিওপেট্রা বিহনে এন্টোনি হইলো রিক্ত,
তাই আত্মহত্যা করিলো তরবারি বুকে বিদ্ধ করিয়া।
পরক্ষণে বুঝিতে পারিলো ক্লিওপেট্রা করিয়াছে
প্রতারিত কিন্তু সময় হইল শেষ মৃত্যু আসিলে ঘনিয়া।
ক্লিওপেট্রা রূপচর্চা প্রজা সুলভ ও বিলাসীতার
প্রতি ছিলো অভাবনীয় তাহার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।
প্রতিদিন গোসল করিতে লাগিত সাড়ে সাতাশত
গাঁদার দুধ ঝরিতো শরীরে যেন অঝোরে বৃষ্টি।
অক্টাভিয়ানের নিকট তাহার প্রেম প্রত্যাখ্যান এবং
ভবিষ্যৎ অন্ধকার কালো মেঘের ঘনঘটা আবরণ।
তিনি লজ্জা ঘৃণা সুইসাইড নোট লিখিয়া বিষাক্ত
সাপের কামড় বুকে লইয়া করিলেন মৃত্যু বরণ।
রাণী ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর পরও মিশরীয়রা তাহাকে
শ্রদ্ধাভরে করিতেন স্মরণ।
সামাজ্যবাদী রোমানীয়রা ক্লিওপেট্রাকে মিশরের
লজ্জা গ্রীসদের অভিশাপ মনে করিতেন আমরণ।
মে ১৪, ২০২১