প্রলয়োচ্ছ্বাস
পুষ্পকাননে রক্ততাজা ফুলগুলো ছিঁড়ে
কভূ আটকানো যায় নাতো অগ্নি ঝরা বসন্ত।
দুমড়ে মুচড়ে শুধু করবে হানাহানি পরবে লাশ,
কতো মায়ের কুল খালি, পৃথিবী নরক জলন্ত
আগ্নেয়গিরি অশান্ত।
অন্ধকারাবৃত মধ্যগগণে রণপ্রমোত্তে যখন
মহাগর্জে উদিত হবে বাঁচার প্রলয়োচ্ছ্বাস।
সৈন্য সামন্ত চালাবে তাণ্ডব রাঙাবে রঙ্গাগন, শেষকুল
কভূ হবেনা রক্ষা, পৈশাচিকতায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে সর্বনাশ।
সত্যের জনঢেউ মহাকাশ ব্যাপিয়া, অনন্ত ছিনিয়া
অজেয় শক্তি রূপভেদ দুর্নিবার রণঢেউ।
নিগৃহীতরা বাঁধনহীন, চলে উন্মত্তে, নেই পরোয়া, বুক
ছেঁড়া তাজা রক্ত ভাসায় গঙ্গা, আপোস করেনা কেউ।
সত্যের হুংকার কম্পিত পাষাণ বলয়, দুর্বৃত্তের
ললাটে ক্ষোদিত ধ্বংসযজ্ঞের জয়গান।
পিছু হটতে জানেনা কভূ দামাল ছেলেরা, অভিমুখ
দ্রুতি জীবনমুখী শিক্ষা রণপ্রমোত্তে বলীয়ান।
পৈশাচিক যমদূতের কালো থাবা, রক্ত চক্ষুর
আস্ফালন, তাজা বুলেট নিছক অনুভূতি বীর সেনানীর।
হাসিমুখে মৃত্যুকে জানায় স্বাগতম, তাজা রক্তের
হোলিতে মেতে উঠে বাংলার দামাল রণবীর।
মৃত্যুর উপত্যকা দাড়িয়ে রক্ত লহর তুচ্ছ করে
মেশিনগানের সম্মূখ পেতে দেয় সারি সারি বুক।
বুলেট-গ্রেনেটের আঘাত ছিন্নভিন্ন দেহ তবুও চলে
সম্মূখ উদ্যম গতি অশুভশক্তি নিভৃত হোক।
পৈশাচিক শক্তির কালো উত্থান, ছলচাতুরী
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও শঠতার সহিত হয় অর্জিত।
জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি অক্ষম, চালায়
দমন-পীড়ন এক কেন্দ্রীক স্বার্থই একরাশ বিকশিত।
আগষ্ট০২, ২০২৪