পাহাড়ি বালিকা, সে ছিল শুভ্র শান্ত, মন
ছিল তার খুব নরম অতি বিনয়ী।
হাসি খুসি থাকত সে, পাহাড়ি ঝর্ণার মত
নির্মল, নামটি ছিল তার মীন্ময়ি।

মনটি ছিল তার আকাশের মত সীমাহীন,
সাগরের মত সুগভীর প্রশস্ত।
লুকোচুরি মনোভাব ছিল না তার জানা,
সাবলীল জীবন যাপনে ছিল অভ্যস্ত।

বাড়ন্ত বয়স তার দিন দিন হচ্ছে পরিণত,
প্রভাবশালীর পোলা দেখে হল বিমোহিত।
ছেলেটির আকুতি মিনতি দেখে হল তার
মায়া, মিষ্টিহাসি দিয়ে করল অভিনন্দিত।

মনের প্রশান্তিতে আনন্দ ঘন মুহূর্তগুলো
দুর্বার গতিতে হতে লাগল পার।
পরিণত বয়সে করল পদার্পণ, বিয়ার চাপ
চর্তুদিক থেকে দিনদিন বাড়তে লাগল তার।

অনুনয় বিনয় করে বুঝানোর সকল
প্রচেষ্টা হল যেন তার শেষ।
একবিন্দু সময়ও হবে না আর, সময় হয়ে
গেল নিঃশেষ, বিদায়ের ঘন্টা বাজিল বেশ।

মরিয়া হয়ে এসে উঠে প্রভাবশালী পোলার
বাড়ী অগ্যতা  করতে পলায়ন।
রক্ত তার জমাট বেধেঁ হল প্রস্তরীত হিম,
দেখে প্রভাবশালী পোলার অশুভ আচরণ।

হয়ে পড়ল নির্বাক, চোখ দুটো হয়ে গেল
ফেকাসে, প্রচণ্ড চুটে ভাঙল বুকের পাঁজর।
প্রভাবশালী পোলার দেওয়া আঘাত
সহিতে না পেরে উত্তপ্ত সমুদ্রে বানাল কবর।

স্বেচ্ছা সেবক দল তার কাংক্ষিত লক্ষ্যে
করল সৃষ্টি  প্রতিবন্ধকতা।
কাল মেঘরাশি হঠাৎ করে সূর্যকে দিল ঢাকা,
হল বিচলিত, বাঁচাল তারা অর্ধমৃত অবস্থায়।

মীন্ময়ি চায়নি  কভূ বাঁচতে তবুও হলনা তার
মৃত্যুর স্বাদ করতে আচ্ছাদন।
ছিন্ন ভিন্ন বীভৎস হৃদয়ে দগ্ধ পাষাণ চাপা দিয়ে
কত দিন যায় বাঁচা, হৃদয়ে চলবে রক্ত ক্ষরণ।

অক্টোবর ১২, ২০২১